নির্বাচনবিধি লঙ্ঘনের দায়ে দেশের বিখ্যাত দুই নেতা ও দুই নেত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা। যোগী আদিত্যনাথ, আজম খান, মানেকা ও মায়াবতীর ওপর ভোট প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন। কাউকে ২ দিন ও কাউকে ৩ দিন ভোট প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
কেজরীর অনুরোধে কংগ্রেসের তরফে আসন ছাড়ার প্রস্তাব আপকে
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও প্রাক্তণ মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী, আজম খান ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গান্ধী, চারজনের ওপরই নির্বাচনী প্রচার চালানোর ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ভারতের নির্বাচন কমিশন সোমবার নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়।
আরও পড়ুনঃ উর্মিলার সভায় মোদীর হয়ে শ্লোগান দিয়ে কংগ্রেসের হাতে প্রহৃত বিজেপি সমর্থকরা
সাম্প্রদায়িক বক্তব্যের কারণে যোগী আদিত্যনাথের ওপর তিন দিনের নিষেধাজ্ঞা দেয় কমিশন। আর মায়াবতীর ওপর আরোপ করা হয়েছে দু দিনের নিষেধাজ্ঞা। আজম খান ও মানেকার বিরুদ্ধেও তিনদিনের নিষেধাজ্ঞা দেয় কমিশন।
আরও পড়ুনঃ কাশ্মীরে মেহবুবার গাড়ি লক্ষ্য করে পাথরবাজদের হামলা
যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে দেওবন্দে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। কমিশন এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারতের সংবিধানের ৩২৪ নম্বর অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে। এর আগে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতাদের প্রতি নমনীয় আচরণ করার অভিযোগ তুলেছিল বিরোধী পক্ষগুলো।
আরও পড়ুনঃ মোদীর হেলিকপ্টারে কালো বাক্স রহস্য, নির্বাচন কমিশনে কংগ্রেস
এর আগে ২০১৪ সালের নির্বাচনে ঘৃণাপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার কারণে বিজেপি প্রধান অমিত শাহ ও সমাজবাদী দলের নেতা আজম খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কমিশন এবারও একই কারণে যোগী আদিত্যনাথ ও মায়াবতীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল।
আরও পড়ুনঃ কংগ্রেস সমর্থকদের হাতে খুন ৭৫ বছরের বৃদ্ধ মোদী সমর্থক
উসকানিমূলক ব্যবস্থা দিয়ে শাস্তির মুখে পড়েছেন মানেকা গান্ধীও। অন্যদিকে অশ্লীল মন্তব্য করে শাস্তির মুখে আজম খান। প্রত্যেকেই ৩ দিনের জন্য নির্বাচন প্রচার থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ভিন্ন জাতে বিয়ে করার শাস্তি, স্বামীকে কাঁধে তুলে স্ত্রীকে ঘুরতে হল গোটা গ্রাম
তবে এরপরও হয়তো কমিশনের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলোর পক্ষপাতের অভিযোগ থেকেই যাবে। কারণ সোমবারই সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে কমিশন পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন। তবে এই শাস্তির পর দেশের শীর্ষ আদালত নিজেদের খুশির কথা জানিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের ভোট প্রচারে বাংলাদেশী নায়ক, সমালোচনায় সরব বিরোধীরা
সোমবারই কমিশনের পক্ষ থেকে এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা আসে। এর আগে অবশ্য দুই নেতাকে সতর্ক করেছিল কমিশন। দুই নেত্রীকেও শাস্তি দিল কমিশন। এরপর দেশের বাকি নেতাদেরও এই শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ ইচ্ছে থাকলে সহজেই পরিবার নিয়ে আপনিও যেতে পারেন মহাকাশ ভ্রমণে
ভারতের নির্বাচনী আচরণবিধিতে প্রচারের সময় কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক বক্তব্য দেওয়ায় স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি দেওবন্দে দেওয়া বক্তব্যে বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) নেতা মায়াবতী মুসলিম সম্প্রদায়কে কংগ্রেস ও তাঁর জোটের মধ্যে ভোট ভাগাভাগি না করার বিষয়ে সতর্ক করেন।
আরও পড়ুনঃ মোদীকে ভোট দিতে চাকুরী ছেড়ে ভারতে এলেন এই প্রবাসী ভারতীয়
এর কয়েক দিন পর মায়াবতীকে একহাত নিতে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ও বিএসপি আলীতে আস্থা রাখেন, তবে আমাদেরও বজরংবলীর ওপর বিশ্বাস রয়েছে।’ যোগী আদিত্যনাথের এ বক্তব্যে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সুস্পষ্ট এ সাম্প্রদায়িক বক্তব্যের কারণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন বিরোধী নেতারা। এ অবস্থায় বিরোধী দলগুলো আদালতের শরণাপন্ন হয়। সুপ্রিম কোর্টে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি বলেন, ‘আমাদের কোনো ক্ষমতা নেই। প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে আমরা বিরত করতে পারি না।’
আরও পড়ুনঃ ভোটবাজারে কলকাতায় কার্নিভ্যাল, কুমোরটুলি ফেস্টিভ্যালে মজেছে পুজোর দুনিয়া
এই বক্তব্যের পর ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈই বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বলছে, “আমরা নখদন্তহীন”। আচরণবিধি ভাঙলে তারা একটি নোটিশ দেয়, তা না মানলে একটি সতর্কবার্তা। আসলেই বিষয়টি এমন কিনা, তা জানতে চাই আমরা। আমরা এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের এমন একজন প্রতিনিধির কাছ থেকে শুনতে চাই, যার এ বিষয়ে গভীর জ্ঞান রয়েছে।’
এরপরেই চার নেতা নেত্রীকে নির্বাচনী প্রচার চালানোর ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ভারতের নির্বাচন কমিশন সোমবার নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে এই নিষেধাজ্ঞা জানিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বাংলায় ভোটে নির্বাচন কমিশনের চিন্তার কারণ শ্যাডো জোন, এল হ্যাম রেডিও
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।