ভোটের পর ফের বোমা-গুলির লড়াইয়ে; উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের ডোমকল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দুজনই একই পরিবারের বলে জানা গেছে। আহত অনেকে হাসপাতালে ভর্তি।
শনিবার ভোরে বোমা-গুলির লড়াইয়ে ঘুম ভাঙে; ডোমকলের কুচিয়ামোড়া গ্রামের। দুই দল দুষ্কৃতীর বোমাবাজি শুরু হয়। বোমাবাজির মধ্যে পড়ে মৃত্যু হয় খাইরুদ্দিন সেখ ও সোহেল রানা নামে ২ জনের। এদের মধ্যে একজন তৃণমূল নেতা ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ; আলতাফ সেখ এর দাদা ও ছেলে।
লোকসভা নির্বাচনের সময়ে এই কুচিয়ামোড়া গ্রামেই; খুন হন তৃণমূল নেতা ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ আলতাফ সেখ। শনিবার যে দুজন খুন হয়েছেন তারাও আলতাফের পরিবারেরই সদস্য; বলে জানিয়েছে পুলিশ। খাইরুদ্দিন সেখ আলতাফের দাদা ও সোহেল রানা আলতাফের ছেলে।
ভোটের আগেই দলীয় মিটিং সেরে বাড়ি ফেরার পথে; খুন হন ডোমকলের তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির কর্মধ্যক্ষ আলতাফ শেখ। বাইকে করে গড়াইমারি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সাবির শেখকে নিয়ে; বাড়ি ফেরার পথে কুচিয়ামারা গ্রামে খুন হন তৃণমূল নেতা আলতাফ।
চার-পাঁচজন দুষ্কৃতি একটি ভ্যানে করে এসে; তাঁদের পথ আটকায়। তারপর মাটিতে ফেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় আলতাফ ও সাবিরকে। সাবির কোনওরকমে পালাতে পারলেও; ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আলতাফের। ঘটনায় কংগ্রেস ও সিপিএম জড়িত বলে; দাবি করেন ডোমকল পুরসভার পুরপ্রধান সৌমিক হোসেন।
ডোমকলের তৃণমূল নেতা আলতাফ শেখ খুনের পরে; বিরোধীদের দিকেই আঙুল তুলেছিল শাসক দল। কিন্তু পরে সেই ঘটনায় গ্রেফতার হয়; শাসক দলেরই তিন নেতা-কর্মী।
ডোমকল থেকেই আলতাফ খুনে পুলিশ গ্রেফতার করে; ডোমকল পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্যের স্বামী মিসবাহুল হক; গড়াইমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যের স্বামী নিজামুদ্দিন শেখ ও তৃণমূলকর্মী সিরাজ মণ্ডলকে। বহরমপুর সিজেএম আদালতে তোলা হলে; বিচারক তাদের ছদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
আলতাফের পরিবারের অভিযোগ; “আলতাফের মৃত্যুর পর থেকেই তার খুনিরা ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছিল। সম্প্রতি তারা জেল থেকে; জামিনে মুক্তি পেয়েছে। সংঘগঠিতভাবে হামলা চালিয়েছে তারাই। এই নিয়ে আগেই পুলিশকে জানানো হয়। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি”।
ঘটনার পরই কুচিয়ামোড়া গ্রামে পৌঁছায়; বিশাল পুলিশ বাহিনী। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রামে চলেছে পুলিশ ও র্যাফের টহল।