জেদি বা অবাধ্য সন্তানকে সামলাবেন কি করে, কি ভাবে করবেন পেরেন্টিং

10613
জেদী বা অবাধ্য সন্তানকে সামলাবেন কি করে/The News বাংলা
জেদী বা অবাধ্য সন্তানকে সামলাবেন কি করে/The News বাংলা

সন্তান বাধ্য হবে; এমনটা কোন বাবা মা না চায়। কিন্তু আজকাল ছোট পরিবারের বাচ্চারা অনেক সময় জেদি হয়। তোয়াক্কা করেনা কারুর কথার। এমন বাচ্চাকে ঠিক কি ভাবে পেরেন্টিং করলে; বা তার সাথে কিভাবে মিশলে; নিজেদের কথা তাকে বোঝাবেন সে সম্পর্কে জেনে নিন।

বাচ্চাদের সাথে কখনোই মেজাজ হারাবেন না। প্রয়োজনে কঠোর হতে হবে; কিন্তু চিৎকার একদম না। চিৎকার করলে বাচ্চা আপনাকে সমীহ করবে না; ভয় পাবে। পরবর্তী কালে বাচ্চা খুব সহজে তোষণ করতে শিখে যায়; তখন হিতে বিপরীত অবস্থা হয়। বাবা মা যাতে রেগে না যায় তারজন্য মিষ্টি কথাতে ভুলিয়ে আড়ালে নিয়ম ভঙ্গ করতে শেখে নেয়।

আরও পড়ুন আপনার বাচ্চার মন বুঝতে, তার হাতের লেখা দেখান হস্তরেখাবিদকে

যুগ বদলে গেছে; এখন বাচ্চাদের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করাটা বোকামি। কোনটা করবে বা করবে না; সেটা তাদের যুক্তি দিয়ে বোঝান। অনেক বাচ্চা খাওয়া নিয়ে ঝামেলা করে; তাদের বোঝাতে হবে কোন খাবারের মধ্যে কি কি গুন আছে; তা কিভাবে তার বুদ্ধি বাড়াতে ও সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।

বাচ্চারা বেশিরভাগ সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। কারণ তাদের বুদ্ধি হতে সময় লাগে। তাও তার ভাবনা চিন্তা গুলো মন দিয়ে শুনুন; বুঝতে চেষ্টা করুন সে কি চাইছে। নিজের ভাবনার গুরুত্ব পেলে বাচ্চাদের মধ্যে আত্মসম্মানবোধ তৈরি হয়। সাথে সাথে অন্যের দৃষ্টিভঙ্গিকে সম্মান করতে শেখে।

আরও পড়ুন দীর্ঘক্ষণ এসি-তে থাকলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে, কিভাবে ত্বক ভালো রাখবেন

যে সব বাচ্চারা অতিরিক্ত অবাধ্য; কোন কথাই শোনে না তাদের ক্ষেত্রে আপনাকে কঠোর হতে হবে। বারংবার বলার পরেও যদি কথার অবাধ্য হতে থাকে; তখন দৃঢ় ভাবে বোঝাতে হবে কোনরকম অসভ্যতা আপনারা মেনে নেবেন না। আর পরবর্তী কালে এই স্বভাবের ফলে কেউই ওর বন্ধু হয়ে চাইবে না।

বাচ্চার ভালো কাজের জন্য প্রশংসা করুন। আপনি ওর কাজে খুশি হয়েছেন; সেটা ওকে জানান। ছোট ছোট; উপহার দিয়ে ওর উৎসাহ বাড়ান। সবচেয়ে বড় ব্যাপার বাচ্চাকে সময় দিন; মাঝে মাঝে ঘুরতে বা খাওয়াতে নিয়ে যান। কোয়ান্টিটি টাইম দিয়ে লাভ নেই; কোয়ালিটি টাইম কাটান আপনার বাচ্চার সাথে।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন