বুধবার বাংলায় আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ফনি, টানা তিনদিন ধরে প্রবল ঝড় বৃষ্টির আশঙ্কা

867
কাল থেকে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকছে ঘূর্ণি ফেনী, ঘণ্টায় ২০০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা/The News বাংলা
কাল থেকে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকছে ঘূর্ণি ফেনী, ঘণ্টায় ২০০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা/The News বাংলা

পশ্চিমবঙ্গের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে ঘূর্ণিঝড় ফনি। আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, এর প্রভাবে বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ভারী ঝড় বৃষ্টি হবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। শুধু ঝড় বৃষ্টি নয়, বজ্র বিদ্যুৎ সহ ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে। মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে সতর্কতার পাশাপাশি, হুগলি বন্দরে সতর্কতা জারী হয়েছে।

১ মে অর্থাৎ বুধবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঘন্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। পরের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার একই পরিস্থিতি থাকলেও হাওড়ার বেগ বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। হাওয়ার বেগ হতে পারে ঘন্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিমি।

ঘূর্ণিঝড় ফনির প্রভাব রাজ্যে সেরকম ভাবে না পড়লেও, ঝড় বৃষ্টির সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, শুক্রবার বজ্র বিদ্যুতের সঙ্গে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার কোনও কোনও জায়গায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

মঙ্গলবার সকালে চেন্নাইয়ের দক্ষিণ পূর্বের ৪৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ছিল ফনি এবং আস্তে আস্তে এটি উত্তর-পশ্চিমে স্থানান্তরিত হচ্ছে। বুধবার সকাল থেকে উত্তর পূর্ব দিকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসবে ফনি। দক্ষিণবঙ্গে বিশেষ করে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে আগামী তিন দিন ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারের কোনও কোনও জায়গায় ঝড় বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার থেকে শুরু করে শুক্রবার পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় ফনি তীব্রতর ঝড়ের আকার ধারন করবে।

ভারতীয় কোস্ট গার্ড থেকে সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে। মৎস্যজীবীরা যাতে সমুদ্রে প্রবেশ না করে সেই আহ্বান জানিয়েছেন কোস্ট গার্ড। ইতিমধ্যে ফনি মাঝ সমুদ্রে নিজের ক্ষমতা বাড়িয়ে বিশাল শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।

পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে যাঁরা মাছ ধরতে যান, তাঁদের উদ্দেশে সতর্কবার্তায় দেওয়া হয়েছে। মৎস্যজীবীরা যেন গভীর সমুদ্রে, বিশেষ করে উত্তর পশ্চিম দিকে না যান মাছ ধরতে। আর যাঁরা গিয়েছেন, তাঁদের ১ মে সকালের মধ্যে ফেরত আসতে বলা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং জাতীয় সংকট ব্যবস্থাপনা কমিটির (এনসিএমসি) একটি সভা ডাকার নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে বলেছেন। মানুষকে সতর্ক করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন