কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে; পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল রাজপুর-সোনারপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা সরকারকে৷ শনিবার একটি সার্কুলার জারি করে; তাঁকে এই পদ থেকে সরিয়ে দেন পুর চেয়ারম্যান পল্লবকান্তি দাস৷ ভাইস চেয়ারম্যানের পদে ছিলেন শান্তা সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পর থেকে কড়া প্রশাসন৷ কাটমানি নেওয়ার অপরাধে; এবার অপসারিত রাজপুর-সোনারপুর উপ-পুরপ্রধান শান্তা সরকার৷ শনিবার অপসারণ করা হয় উপ-পুরপ্রধান শান্তা সরকারকে। কাটমানি নিয়ে একের পর এক তৃণমূল নেতার দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসছে।
দীর্ঘদিন ধরেই রাজপুর সোনারপুর পুরসভার চেয়ারম্যান শান্তা সরকারের বিরুদ্ধে; দুর্নীতির অভিযোগ উঠছিল। অভিযোগ, এলাকায় কোনও কাজ করাতে গেলে; টাকা চাইত শান্তার লোকজন। এছাড়াও এলাকায় পুকুর ভরাট, সিন্ডিকেট চালানোরও; অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই; দলের মধ্যেই ক্ষোভ বাড়ছিল। শান্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান; দলের একাধিক নেতাকর্মী।
পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শান্তা। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের একাংশের বক্তব্য; “শান্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জমেছিল। এত দিন কিছু করা হচ্ছিল না। কিন্তু সর্বোচ্চ নেতৃত্ব সংকেত দিতেই ব্যবস্থা নিল দল”। কী অভিযোগ শান্তার বিরুদ্ধে? স্থানীয় লোকজন এবং তৃণমূলের একটা বড় অংশের বক্তব্য; সমস্ত সরকারি প্রকল্প থেকেই কাটমানি নিতেন ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা সরকার।
অভিযোগ, লোকসভা ভোটের আগে রাজপুর-সোনারপুর পুরপ্রধান; পল্লব দাসের সঙ্গে বচসায় জড়ান তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার ও মারধরের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পর পুরসভায় যাওয়া বন্ধ করেন পুরপ্রধান। অভিযোগ জানান হয়; মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও। এরপরই শান্তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উপপ্রধানের পদ থেকেই সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। যদিও এব্যাপারে তিনি কিছুই জনেন না বলে দাবি শান্তার।
দলের সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছু বলতে চাননি শান্তা সরকার৷ তাঁর বক্তব্য, এইরকম কোনও সার্কুলার এখনও তিনি পাননি। তাই এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চান না তিনি৷ তবে পৌরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে; সার্কুলার পৌর কর্মীর মাধ্যমে শান্তা সরকাকের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কাটমানি সংক্রান্ত বিষয়ে শান্তা সরকার বলেছেন; যা করেছেন দলের নির্দেশেই করেছেন”।
মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে যে কাটমানি অভিযোগ সেল চালু হয়েছে; সেখানে জমা পড়েছে ভূরি ভূরি অভিযোগ। দফতরের অফিসাররা বলছেন; এযেন ঠগ বাছতে গাঁ উজার হবার যোগার।