এত হইচই সত্ত্বেও আজও বন্ধ হয়নি গরু-পাচার, এবার দুধের গাড়িতে ও ডাক পার্সেলের গাড়িতে বাংলাদেশে গরু-পাচার। সীমান্ত দিয়ে বাংলা থেকে বাংলাদেশে গরু-পাচার মামলা নিয়ে, রীতিমতো তোলপাড় বাংলা। গরু-পাচারের দায়ে, গ্রেফতার হয়েছে অনুব্রত মণ্ডল। জেলায়-জেলায় চলছে সিবিআই-ইডি তল্লাশি। কিন্তু তা সত্ত্বেও যে গরু পাচার আদৌ বন্ধ হয়নি, সেটা আবার প্রমাণ হল দুটি ঘটনায়।
একদিকে গরু বোঝাই কন্টেনার ধরা পরল ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে। অন্যদিকে পুরুলিয়ায় একটি দুধের গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর গরু। দুটি ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য দুই এলাকায়। মঙ্গলবার ভোরে ঝাড়খণ্ড হয়ে বাংলায় ঢুকছিল, একটি ‘ডাক পার্সেল’ বা ভারী জিনিসপত্র বোঝাই কন্টেনার। ধানবাদে স্থানীয়দের নজরে পড়ে গাড়িটি। কন্টেনারটিকে আটকে দেয়, স্থানীয় গোরক্ষা কমিটির সদস্যরা।
আরও পড়ুনঃ চাপ বাড়ল পার্থ ও তৃণমূলের, চাকরি চুরি মামলায় ‘গোপন জবানবন্দি’ দেবেন অর্পিতা
গাড়ির দরজা খুলতেই চক্ষু-চড়কগাছ, গাদাগাদি করে রাখা প্রচুর গরু। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে, চালক-খালাসি পালিয়ে যায়। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। এইভাবেই বীরভূম, মুর্শিদাবাদের উপর দিয়ে, গরু পাঠানো হত বাংলাদেশে। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দা ও বিজেপির। তবে ঝাড়খণ্ড পুলিস এখনও এই নিয়ে কিছু জানায়নি।
আরও পড়ুনঃ মহাকরণে ফিরলেন ‘বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য’, চমকে গেল বাংলার মানুষ
অন্যদিকে পুরুলিয়ায় একটি বেসরকারি সংস্থার, দুধের কন্টেনারের ভিতরে ছিল অনেক গরু। মঙ্গলবার ভোরে পুরুলিয়ার হুড়া থানার অন্তর্গত পুরুলিয়া-বাঁকুড়া ৬০এ জাতীয় সড়কে বিষপুরিয়া মোড়ের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গাড়িটি। এই দুর্ঘটনায় মারা যায় ৫টি গরু, গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় আরও ২০টি গরু। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে, গরুগুলিকে উদ্ধার করে। দুটি ঘটনা নিয়ে গরু পাচারে ফের সরব বিজেপি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের ও বিজেপির অভিযোগ, “চোখে ধুলো দিতে দুধের কন্টেনারে, গরু নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বাংলাদেশে পাচারের জন্য”। তবে পুলিশের তরফে তদন্ত শুরু হয়েছে, যে পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল না অন্য কিছু। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইট করে জানিয়েছেন, “এখনও গরু পাচার চলছে বাংলায়, দুটি ঘটনাই তার প্রমাণ”। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, “গরু নিয়ে যাচ্ছিল মানেই, গরু-পাচার নয়। পুলিস তদন্ত করে দেখছে, তারপর আসল তথ্য জানা যাবে”।