নেই করোনা, তবু বাধ্যতামূলক কোভিড র্যাপিড টেস্টের নামে; মানুষকে লুটছে বেসরকারি হাসপাতাল-গুলি। হাসপাতালে ভর্তি হলেই; কোভিড টেস্টের নামে এখনও লুটে চলেছে বাংলার বেসরকারি হাসপাতাল-গুলি। কোথাও সেটা ২৫০০; কোথায় ৩০০০, কোথাও আবার ৪০০০; যে যেমন পারে সরকারি নির্দেশের দোহাই দিয়ে পকেট কাটছে সাধারণ মানুষের।
কি অদ্ভুত না? করোনা নেই, কেউ মাস্ক পরে না। খুলেও গেছে সব অফিস আদালত দোকানপাট। বিধানসভা পুরসভা ভোটও হয়ে গেল। চারপাশে সব স্বাভাবিক। তাও মানুষকে লুটে যাচ্ছে; রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলো। সরকারি নির্দেশের দোহাই দিয়েই। হাসপাতালে ভর্তি হলেই; বাধ্যতামূলক কোভিড টেস্ট; যা এখনও চলছে।
আরও পড়ুনঃ দায় কার, আদালতের রায়ে স্কুল শিক্ষিকা বরখাস্ত হতেই বিয়ে ভেঙে পালাল প্রেমিক
করোনা র্যাপিড টেস্টের নামে ২৫০০-৪০০০ টাকা; যে যেমন পারে লুটছে মানুষকে। দুটো ভ্যাকসিন, একটা বুস্টার ডোজ নিলেও; আপনাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলেই খসাতে হবে ২৫০০ টাকা। সব দেখেশুনেও উদাসীন প্রশাসন; কেন্দ্র বা রাজ্য কেউ এই নিয়ে কোন নির্দেশ দিচ্ছে না। কেন কোভিড র্যাপিড টেস্টের নামে লুটবে; রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতাল-গুলো? প্রশ্ন তুলেছেন আমজনতা।
এদিকে, কোভিড রোগীর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে; করোনার কোনও উপসর্গ দেখা না দিলে পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক নয়। আগেই ঘোষণা করেছে; কেন্দ্র সরকার। আইসিএমআর-এর নির্দেশিকা অনুযায়ী, যদি না তাঁদের মধ্যে করোনার কোনও উপসর্গ দেখা যায়; কোভিড রোগীর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের করোনা পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক নয়।
আরও পড়ুনঃ নারাজ পাওয়ার, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে মমতার বাজি গোপালকৃষ্ণ
যাঁরা আন্তঃরাজ্যে ভ্রমণ করে কিছুদিন নিভৃতবাসে ছিলেন এবং সেই রকম কোনও উপসর্গ নেই; নতুন সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের ক্ষেত্রেও আরটিপিসিআর বাধ্যতামূলক নয়।
আইসিএমআর-এর নিয়ম অনুসারে, সন্তান জন্ম দেওয়া বা অন্যান্য অস্ত্রোপচারের জন্য যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কোনও উপসর্গ না থাকলে পরীক্ষা করার প্রয়োজন নেই।
তা সত্ত্বেও যে কোন কারণেই হোক না কেন; বাংলায় বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হলেই; আপনাকে আগে ২৫০০-৪০০০ টাকা খরচা করে; বাধ্যতামূলক করোনা টেস্ট করাতেই হবে। এইভাবেই রাজ্য প্রশাসনের নাকের ডগায়; মানুষকে লুটছে বেসরকারি হাসপাতাল-গুলি। অসহায় মানুষের কিছুই করার থাকে না, সই করা ছাড়া; রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাবার পর।