শুক্রবারই আংশিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারে বামফ্রন্ট। যে সমস্ত আসনে সমস্যা নেই, সেই আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে বলেই সুত্রের খবর। আজ শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকের ডাক দিয়েছে বামফ্রন্ট।
জোট জট না কাটিয়ে বামেরা ফের প্রার্থী ঘোষনা করতে চলায় ক্ষুব্ধ প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। কার্যত জোটে জট। তবে জোট ভাঙার দায় নিতে চাইছে না বাম কংগ্রেসের কেউই। তবে রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদের মত এই জোটের ফয়সালাও হবে সেই দিল্লিতেই। বাম কংগ্রেস দুই দলই জোটের সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতাদের হাতেই।
আরও পড়ুনঃ অর্জুনকে ওপেন চ্যালেঞ্জ অভিষেকের, দীনেশ ত্রিবেদীকে ২ লাখ ভোট জেতাব
রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ আসনের ক্ষেত্রেও এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। দিল্লিতে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সীতারাম ইয়েচুরির বৈঠকে শেষ পর্যন্ত জট খোলে। ফের সেই সীতারাম ও রাহুলের হাতেই রাজ্যে আসন সমঝোতার জট খোলার দায়িত্ব পড়ল। সিপিএম কংগ্রেসকে ১১ থেকে ১৩টি আসন ছাড়তে চায়। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস অন্তত ১৭টি আসন চায়। যার মধ্যে পুরুলিয়াও রয়েছে।
এই টানাপোড়েনে বুধবার ও বৃহস্পতিবার দিনভর বৈঠক করেও সোমেন মিত্র, প্রদীপ ভট্টাচার্য, রবিন দেব-রা জট খুলতে পারেননি। যদিও তৃণমূল-বিজেপিকে ঠেকাতে সমস্ত ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির একজোট হওয়া প্রয়োজন বলে বৃহস্পতিবারও মন্তব্য করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র।
আরও পড়ুনঃ মমতার প্রার্থী তালিকা নিয়ে গোপনে ক্ষোভ বাড়ছে জেলায় জেলায়
প্রদেশ কংগ্রেস বামেদের অনড় মনোভাবের কথা জানিয়ে হাইকমান্ডের হাতে জোটের ভাগ্য ছেড়ে দিয়েছে। অন্যদিকে বামফ্রন্টও আরও প্রার্থীর নাম ঘোষনা করে চাপে রাখতে চাইছে কংগ্রেসকে। দার্জিলিং পুরুলিয়া ও বসিরহাট নিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াইয়ের বামেদের প্রস্তাবও ফিরিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস।
আসন সমঝোতা নিয়ে এই জটিলতার মধ্যেই পুরুলিয়ার দুই বিধায়ক নেপাল মাহাতো ও সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের গতিবিধি নিয়ে বৃহস্পতিবার দিনভর প্রবল ধোঁয়াশা তৈরি হয়। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বিধানভবন থেকে প্রদেশ কংগ্রেসের নেতারা অনেকবার ফোন করেও নেপাল মাহাতোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। এই দলবদলের বাজারে নেপাল ও সুদীপ দলবদল করবেন কি না তা নিয়ে প্রবল আশঙ্কা তৈরি হয় দলের অভ্যন্তরে।
আরও পড়ুনঃ পশ্চিমবঙ্গে নজিরবিহীন ৭ দফা ভোটে সুবিধা বিজেপির
নেপাল দলবদল করলে তাঁকে পুরুলিয়া আসনে প্রার্থী করার ভাবনাও রয়েছে বিজেপির। বিজেপির এই দাবি খারিজ করে নেপাল বিবৃতি দেওয়ায় আপাতত স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়েছে প্রদেশ কংগ্রেসে। কারণ নেপাল কংগ্রেস ছেড়ে গেলে পুরুলিয়া আসন নিয়ে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেস আর দরকষাকষি করতে পারতেন না সোমেন মিত্র।
আরও পড়ুনঃ বাংলার কোন লোকসভা আসনে কবে ভোট দেখে নিন
কালকের মধ্যেই হাইকমান্ডের নির্দেশ আসবে ধরে নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় ফের প্রদেশ নির্বাচনী কমিটির বৈঠক বসবে কংগ্রেস দফতরে। এদিকে উত্তরবঙ্গে প্রার্থী ঘোষণা না করলে এরপর অনেকটাই দেরি হয়ে যাবে আশঙ্কা বামেদের। শেষ পর্যন্ত জোটের জট কাটে কিনা বা কবে ও কিভাবে কাটে সেটাই এখন দেখার।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।