The News বাংলা, মেঘালয়াঃ ১০ দিন পরেও এখনও উদ্ধার করা গেল না ১৩ জন শ্রমিককে। বেআইনিভাবে কয়লা উত্তোলন করতে গিয়ে ধ্বসের কবলে পড়ে মেঘালয়ে অন্তত ১৩ জন শ্রমিকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা পুলিশের। এখনও ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চলছে। এখনও শ্রমিকদের কোন সন্ধান নেই। বেচে থাকার আশা নেই বলেই মনে করছে মেঘালয়া সরকারও।
আরও পড়ুনঃ লোকঠকানির লোন মাপ, রাহুলকে লজ্জায় ফেলে আত্মঘাতী কৃষক
মেঘালয়ে ২০১৪ সালের এপ্রিল মাস থেকেই ‘র্যাট হোল’ কয়লা তোলা নিষিদ্ধ। ভারতের গ্রিন ট্রাইব্যুনাল এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। কিন্তু তারপরও চলছে বেআইনিভাবে কয়লা তোলার কাজ। পুলিশ প্রশাসন উদাসীন। বেআইনি কয়লা থেকে তারাও বখরা পায় বলেই অভিযোগ। আর এর জেরেই একের পর এক প্রাণহানি হচ্ছে বলেই অভিযোগ।
আরও পড়ুনঃ উগ্র হিন্দুত্ববাদী নিশানায় নাসিরউদ্দিন, নিন্দা বাংলার বুদ্ধিজীবীদের
আরও পড়ুনঃ কলকাতা হাইকোর্টের অন্দরেই আটকে রইল বিজেপির রথ যাত্রা
রাজ্যের পূর্ব জয়ন্তিয়ায় বেআইনিভাবে কয়লাখনিতে কাজ করতে গিয়ে ধ্বসের কবলে পড়েছেন অন্তত ১৩ থেকে ১৫ জন শ্রমিক। গ্রামবাসীর কাছ থেকে গত ১৩ ই ডিসেম্বার পুলিশ এই নিখোঁজ সংবাদ পায়। এরপরই উদ্ধারকাজ শুরু হয়। দশদিন পরেও কারোর সন্ধান পাওয়া যায় নি।
আরও পড়ুনঃ ২২ বছর পর ফের ভূস্বর্গে রাষ্ট্রপতি শাসন
মেঘালয় রাজ্য পুলিশের ডি আই জি, এ আর মাহাতো সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গ্রামবাসীর কাছ থেকেই তাঁরা এই দুর্ঘটনার খবর পেয়েছেন। তবে খনিতে ঠিক কতজন আটকে আছেন, সে বিষয়ে পুলিশ এখনো নিশ্চিত নয়। তিনি বলেন, সংখ্যাটি ১৩ বা ১৫ জনের বেশিও হতে পারে। কমও হতে পারে। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুনঃ EXCLUSIVE: কলকাতা থেকে পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের টাকা যাচ্ছে জঙ্গিদের হাতে
ভারতের জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) ১২০ জন জওয়ান অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উদ্ধারকাজে হাত দিয়েছেন। এই বাহিনীকে সাহায্য করছেন প্রশিক্ষিত রাজ্য দুর্যোগ বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি দমকল ও অন্যান্য দপ্তরের কর্মীরা। কিন্তু তাঁরা এখনও কোনো সাফল্য পাননি। একজনকেও এখনও উদ্ধার করা যায় নি।
আরও পড়ুনঃ নেতাদের গুন্ডা পোষা না গুন্ডাদের নেতা হওয়া, প্রকাশ্যে বন্দুকবাজির কারন কি
প্রতিদিনই সকাল থেকে আবার উদ্ধার অভিযান শুরু হচ্ছে। জানা গেছে, কয়লাখনিটি ৩৭০ ফুট গভীর। সেখানে এখনও জল জমে রয়েছে। জল বের করে শ্রমিকদের উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। উদ্ধারকারীরা প্রায় নিশ্চিত, কেউই আর বেঁচে নেই। এখন লাশ উদ্ধার করার চেষ্টাই চলছে। মেঘালয়া সরকারও জানিয়েছে, শ্রমিকদের আর বেঁচে থাকার আশা নেই বলেই মনে হয়।
আরও পড়ুনঃ বাংলায় ২৫ টাকা কেজি পেঁয়াজ, নাসিকে দাম না পেয়ে আত্মহত্যা
এদিকে, পুলিশ সূত্রে খবর, কয়লাখনির মালিককে খোঁজা হচ্ছে। তিনি পলাতক। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই মামলা রুজু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কনার্ড সাংমা স্বীকার করেছেন, রাজ্যে বেআইনি কয়লাখনি এখনও চালু রয়েছে। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন তিনি। এক সরকারি প্রেস বিবৃতিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, খনি এলাকাগুলোয় ঝুঁকি কমাতে বিশেষ কর্মসূচি হাতে নেবে তাঁর সরকার।