কেশপুরের তৃণমূল কর্মীদের হাতে রক্তাক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী। সিপিএম আমলে ভীত সন্ত্রস্ত কেশপুর; তৃণমূল আমলে রক্তাত্ব। কোথায় পরিবর্তন? প্রশ্ন সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক মহলের।
কেশপুরের দোগাছিয়ায় তৃণমূল কর্মীদের হাতে; রক্তাক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী। ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কেশপুরের দোগাছিয়ার একটি বুথে ছাপ্পা ভোট হচ্ছে; এমনই খবর পেয়ে সেই বুথে ছুটে যান; ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ। ভারতীর সাথে ছিলেন তাঁর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীরাও।
আরও পড়ুনঃ সাতসকালে ভোটের বুথে কেঁদে ফেললেন ভারতী, উড়ে গেল পায়ের নখ
বুথে পৌঁছানো মাত্রই কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি ঘিরে; তৃণমূল কর্মীরা তুমুল ইটবৃষ্টি ও পাথরবৃষ্টি শুরু করে। ইটের ঘায়ে রক্তাক্ত হন; ভারতীকে ঘিরে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর কয়েকজন জওয়ান। সম্পূর্ণ ভাংচুর করা হয় ভারতীর গাড়ি। একটি মাদ্রাশাতে ছাপ্পা ভোট হচ্ছিল; খবর পেয়ে এলাকায় যান ভারতী; এমনটাই জানা গেছে।
আরও পড়ুনঃ ষষ্ঠ দফা ভোটের মধ্যেই রহস্যজনক মৃত্যু ২ রাজনৈতিক কর্মীর, বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষ
কেশপুরের দোগাছিয়ায় সকাল থেকেই উত্তপ্ত অবস্থা বেশ কয়েকটি বুথে। ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ সকাল থেকেই অভিযোগ করেন; তার এজেন্টকে বুথে বসতে দেওয়া হচ্ছে না। কেশপুরের বিভিন্ন বুথে বিজেপি এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ। তবে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।
আরও পড়ুনঃ অন্তঃসত্ত্বা মহিলার ছদ্মবেশে আত্মঘাতী হামলা হতে পারে হিন্দু বা বৌদ্ধ মন্দিরে
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে; ওই তৃণমূল সমর্থকদের বলতে শোনা যায়; অন্য দল করেন বলে ভারতীর এজেন্টকে তারা বুথে বসতে দেবেন না। ভারতীকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে তৃণমূল সমর্থকরা। এক সময় ধস্তাধস্তিতে তার পায়ের নখ উপড়ে রক্তাক্ত হয়।
আরও পড়ুনঃ ষষ্ঠ দফায় ১০০ শতাংশ বুথে থাকছে না কেন্দ্রীয় বাহিনী, প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ কমিশন
শুধু ভারতী ঘোষ নয়; কেশপুরের দোগাছিয়ার ওই মাদ্রাশার কাছে গেলে সংবাদমাধ্যমের অনেক গাড়িতেও ভাঙচুর চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ওরা আমাদের কর্মী নয়; সাধারণ মানুষ ভারতীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছে; দাবী তৃণমূলের।
কেশপুরের দোগাছিয়ায় তৃণমূল কর্মীদের হাতে; আক্রান্ত হন ভারতী ঘোষের নিরাপত্তা কর্মীরা। ইট বৃষ্টি শুরু হয় সাংবাদিকদের গাড়ি লক্ষ্য করেও। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম আক্রান্ত হয়েছে কেশপুরের দোগাছিয়ায়।