“সেন্ট্রাল ফোর্স বছরে এই কয়েকদিন থাকবে”, রাজ্যের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বক্তব্যে হুমকির সুর দেখছে বিরোধীরা। আর এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দারস্থ হচ্ছে বিজেপি। দলের অন্যান্য নেতাদের মতই, কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে কাজ করার অভিযোগ তুলে সরব হলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা কোচবিহার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
কেন্দ্রীয় বাহিনী মানুষের গণতন্ত্র হরণ করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। জনসাধারণের উদ্দেশ্যে তিনি অভয়বাণী দিয়ে বলেন, “সেন্ট্রাল ফোর্স এই কয়েকটাদিন থাকবে, পাঁচ বছর থাকবে না”। আর রবীন্দ্রনাথ ঘোষের এই বক্তব্যেই হুমকির সুর দেখছেন বিরোধীরা।
আরও পড়ুনঃ বাম কংগ্রেস বিজেপির আপত্তি নেই, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কেন মাথাব্যথা শুধু তৃণমূলের
মঙ্গলবার রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী ফিরে গেলেও এই সরকারই এখন ক্ষমতায় থাকবে”। জনগনকে ভয় না পেয়ে নিশ্চিন্তে ভোট দিয়ে আসার পরামর্শ দেন তিনি। তবে, “সেন্ট্রাল ফোর্স বছরে এই কয়েক দিন থাকবে”, মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের এই উক্তিকেই হুমকির চোখে দেখছে বিজেপি নেতারা।
কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের তরফে প্রার্থী হয়েছেন পরেশচন্দ্র অধিকারী। তারই হয়ে প্রচার করছেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ৷ লোকসভার নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে তিনি পরোক্ষভাবে ভয় দেখাচ্ছেন বলেই অভিযোগ তুলছেন বিরোধীরা। মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে বিজেপি।
আরও পড়ুনঃ বিরোধী মহিলা প্রার্থীদের ‘মাল’ সম্বোধন করে কুরুচিপূর্ণ আক্রমণ ফিরহাদের
এই ব্যাপারে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, “রাজ্যের পুলিশ বাহিনী সারা বছর জনগনের স্বার্থে কাজ করে। সকল রাজনৈতিক দল বিপদে পড়লে রাজ্যের বাহিনীর কাছেই সাহায্য নিতে হয়”।
এদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপির প্রতিনিধি ও তারা মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন, যা গনতন্ত্রের প্রকৃত লক্ষন নয় বলে তিনি জানান। উল্টে ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগে বিজেপির তরফে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের তারকা প্রার্থী নিয়ে অশ্লীল ও বিতর্কিত মন্তব্য ক্ষিতির
প্রতিদিনই রাজ্য জুড়ে রুট মার্চ করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম সবাই মুখ খুলেছেন এই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে। বাম কংগ্রেস বিজেপির আপত্তি নেই, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কেন মাথাব্যথা শুধু তৃণমূলের? উঠেছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুনঃ অনুব্রত মন্ডলের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের
পাড়ার মোড়ে মোড়ে স্থানীয় মানুষ ও দোকানদার-ব্যবসায়ী সবার সঙ্গে কথা বলছেন বাহিনীর সদস্যরা। নির্বিঘ্নে ভোটদানের আশ্বাস দিচ্ছেন এলাকার মানুষকে। এদিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, “বিজেপি বাহুবলী হতে চাইছে, কাশ্মীরেও এত কেন্দ্রীয় বাহিনী আছে কি না সন্দেহ। তার থেকেও বেশি বাহিনী এখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে”।
আরও পড়ুনঃ মিমি নুসরত এর চরিত্র নিয়ে কটাক্ষ বিতর্কে জড়ালেন দিলীপ ঘোষ
তৃণমূল নেতারা বলেছেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেই বাড়ি–বাড়ি হুমকি দিচ্ছে”। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চ্যাটার্জি বলেন, “বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে দেখা গেছে, তারা হুমকি দিচ্ছে। পক্ষপাতদুষ্ট এই বাহিনী। কাশ্মীরেও এতো বাহিনী পাঠানো হয়নি। এরা রুটমার্চ করতেই পারে। রুটমার্চের নামে যা করছে তা মেনে নেওয়া যায় না”। এবার সেই সুরেই কথা বললেন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
আরও পড়ুনঃ বাবুলকে হারাতে ১ কোটি টাকার কাজের টোপ, বিতর্কিত ঘোষণা মেয়রের
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।