মমতার পুলিশের বিরুদ্ধে কেন্দ্রকে ভয়ঙ্কর রিপোর্ট দিলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। রবিবার সিবিআই দফতরে ঢুকে শুধু দখল নেওয়াই নয়, অফিসারদের বউ বাচ্চাদের হেনস্থাও করে তারা, এমনই রিপোর্ট কেন্দ্রকে পাঠিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। রাজভবন সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ যোগী আদিত্যনাথকে আদৌ বাংলায় নামার অনুমতি দেবে মমতা ব্যানার্জী সরকার
সিবিআইয়ের তরফ থেকে দেশের শীর্ষ আদালতে সোমবারই জানানো হয়েছে যে, রবিবার কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে জেরা করতে গিয়ে পুলিশের হাতে হেনস্থা হতে হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই আধিকারিকদের। যেটা সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির সমান। গায়ে হাত তুলে জোর জবরদস্তি তুলে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। সুপ্রিম কোর্টের পাশাপাশি এই রিপোর্ট জমা পরেছে কেন্দ্র স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছেও। পাশাপাশি রাজ্যপালের কাছেও এই ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠান হয় কেন্দ্র স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফ থেকে।
আরও পড়ুনঃ সারদা কেলেঙ্কারির পাল্টা এবার সিবিআইকেই প্রতারণা মামলার নোটিশ মমতার পুলিশের
সিবিআই বনাম পুলিশ সংক্রান্ত ব্যাপারেই রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়৷ রাজনাথ সিং এদিন জানান যে “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই এই তদন্ত। সিবিআইকে কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে৷ তদন্তে অসহযোগিতা করেছেন পুলিশ কমিশনার। বারবার ডাকা সত্ত্বেও সিপি আসেননি৷ সিবিআই অফিসারদের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে। সিবিআই অফিসারদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়৷ এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা”৷
আরও পড়ুনঃ মমতার নির্দেশে সিবিআই অফিসারদের আটক করে বাংলার আইপিএসরা বিপদে
এরপর সোমবার বিকালেই মেল করে কেন্দ্রকে রিপোর্ট পাঠালেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। সিবিআই-রাজ্য সংঘাত নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে এই রিপোর্ট পাঠালেন রাজ্যপাল৷ গতকালের ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠিয়েছেন তিনি৷ রিপোর্টে বলা হয়েছে মমতার প্রশাসনের আইপিএসরাও ধরনায় ছিলেন৷ এমনকি অভিযুক্ত পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারও ছিলেন ধরনায়৷ সে বিষয়েও রিপোর্টে উল্লেখ রাজ্যপালের৷
আরও পড়ুনঃ তথ্যপ্রমাণ নষ্টের প্রমাণ পেলে পুলিশ কমিশনারকে উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে হুঁশিয়ারি সুপ্রিম কোর্টের
এই রিপোর্টেই ভয়ঙ্কর তথ্য দিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল রিপোর্ট দিয়েছেন, “শুধু অফিসে নয়, সিবিআই অফিসারদের বাড়িতেও যায় কলকাতা পুলিশ। তাদের অফিস ঘিরে রাখা হয়। সিবিআই অফিসারদের বাড়িতে গিয়ে তাদের বউ বাচ্চাদেরও হেনস্থা করেছে পুলিশ। এমনই উল্লেখ রয়েছে রাজ্যপালের রিপোর্টে”। রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়াবহ। আর এই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসেছে মোদী সরকার।
আরও পড়ুনঃ পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআইকে ঢুকতে বাধা কলকাতা পুলিশের
সোমবারই রাজ্যের চীফ সেক্রেটারির কাছে চিঠি পাঠিয়ে এই কাজে লিপ্ত থাকা আইপিএস অফিসারদের সব রিপোর্ট চাইল কেন্দ্র। রাজনাথ সিং এর স্বরাষ্ট্র দফতর বাংলার এই আইপিএস-দের রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে মোদী সরকার। মনে করা হচ্ছে এই আইপিএস-দের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুনঃ বুদ্ধে সৌজন্য কিন্তু মোদী যোগীতে অনুমতি নেই, শত্রু পাল্টেছে মমতার
তবে কলকাতা পুলিশ কোন সিভিলিয়ানের হেনস্থা তো দুরের কথা, তাদের কারোর সঙ্গে পুলিশের দেখাই হয়নি বলে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। তবে রাজ্যপালের এই রিপোর্ট নিয়েই এবার আসরে নামছে কেন্দ্রীয় সরকার। দরকার হলে রাজ্যপালের হেনস্থা রিপোর্ট পেশ করা হবে সুপ্রিম কোর্টেও।