কলকাতা হাইকোর্টে ফের লজ্জায় রাজ্য সরকার, তীব্র ভর্ৎসনা, ১০ হাজার টাকা জরিমানা

220
কলকাতা হাইকোর্টে ফের লজ্জায় রাজ্য সরকার, তীব্র ভর্ৎসনা, ১০ হাজার টাকা জরিমানা
কলকাতা হাইকোর্টে ফের লজ্জায় রাজ্য সরকার, তীব্র ভর্ৎসনা, ১০ হাজার টাকা জরিমানা

কলকাতা হাইকোর্টে ফের লজ্জায় রাজ্য সরকার, তীব্র ভর্ৎসনা, ১০ হাজার টাকা জরিমানা। বাস ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলায়, এবার রাজ্যকে তীব্র ভর্ৎসনা আদালতের। এমনকি রাজ্যকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করেছে, প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। করোনা বাড়বাড়ন্ত পরিস্থিতি পর থেকেই, বেসরকারি বাসের জন্য কোনও নির্দিষ্ট ভাড়া নীতি নেই। এই অভিযোগে নিয়েই চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতা হাইকোর্টে, একটি জনস্বার্থ মামলা করেন আইনজীবী প্রত্যুষ পাটোয়ারি।

মামলায় তাঁর যুক্তি ছিল, ২০১৮-এর পর থেকে বাসভাড়ার কোনও নতুন তালিকা তৈরি হয়নি। ফলে সেই নিয়ম মেনেই, এখনও ভাড়া নেওয়ার কথা। কিন্তু কলকাতা ও শহরতলির বাসে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে, যেমন তেমন ভাবে। একে বাস সংখ্যা কমেছে, তার জন্য ভিড় বেশি। আর এই সুযোগে ফুলে ফেঁপে উঠেছে অটো রুটগুলি। সেখানেও করোনা পরবর্তী সময়ে, ভাড়া নেওয়ার কোনও নীতি নেই।

এই মামলাতেই রাজ্যকে ২ সপ্তাহের মধ্যে, হলফনামা দিয়ে সব তথ্য জানাবার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই সময়সীমা অতিক্রম হওয়ার পরেও তা না পেয়ে, রাজ্য সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা ও জরিমানা পথে হাঁটল কলকাতা হাইকোর্ট। বাস ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে করা জনস্বার্থ মামলায়, রাজ্যকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করল হাইকোর্ট। হলফনামা পাওয়ার পরই বাস ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে, রায় জানাবে হাইকোর্ট।

আরও পড়ুনঃ রাজ্যের ভাঁড়ারে টান অথচ কোটি কোটি পুজোর অনুদান, মামলা হাইকোর্টে

মিনিবাস ও বাস ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে হলফনামা চাওয়ার পরও, কেন সময় মতো দিতে পারেনি রাজ্যের পরিবহণ দফতর? সেই প্রশ্নও তুলেছে আদালত। রাজ্য সরকারের কাছে কি পর্যাপ্ত তথ্য নেই? তিনটি প্রশ্নের উত্তর চেয়েছিল হাইকোর্ট। প্রথমত, ভাড়ার তালিকা সব বাসে লাগানো রয়েছে কি না। দ্বিতীয়ত, সরকারের বেঁধে দেওয়া বা নির্ধারিত ভাড়া, বেসরকারি বাসগুলো নিচ্ছে কি না। নিশ্চিত করা হচ্ছে কি, কোথাও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। এবং তৃতীয়ত, যাত্রীদের অভিযোগ গ্রহণ করার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সেখানেই একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্য পরিবহণ দফতরকে। পশ্চিমবঙ্গ মোটর ভেহিকেল আইনের (১৯৮৯) ১৭৫ রুল অনুযায়ী, যাত্রীদের অভিযোগ নেওয়ার কথা বলা হলেও, বেশিরভাগ বাসেই কমপ্লেন বুক নেই বলেই অভিযোগ।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন