আবার বিপদে সল্টলেকের মেয়র ও রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত। বারবার তৃণমূলকে বিড়াম্বনার মধ্যে ফেলছেন তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত। এবার বিজেপি নেতাদের ডায়লগ বলে ফের বিপদে তিনি। এবার ‘ভারতমাতা কি জয়’, বলে দলের মধ্যেই ফের বিপদে নেতা সব্যসাচী। কৈফিয়ত চাইবে দল, জানা গেছে তৃণমূল সূত্রে।
আরও পড়ুনঃ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলে নিশীথের হয়েই প্রচার শুরু বিজেপির বিক্ষুব্ধদের
তাঁর দলত্যাগ নিয়ে ও গেরুয়া শিবিরে যাওয়া নিয়ে জল্পনার অন্ত নেই। মুকুল রায়ের লুচি-আলুর দম পর্বের পরই সবার মুখে ফিরছে বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তর নাম। আর দোলের দিন যেন সব জল্পনার অবসান করলেন নিজেই। বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূল অতীত। গেরুয়া শিবিরেই নাম লেখাচ্ছেন তিনি। তবে তিনি নিজে এই নিয়ে মুখ খোলেননি একবারও।
আরও পড়ুনঃ লোকসভা রিপোর্টে গত ৫ বছরে তৃণমূল সাংসদদের পারফরম্যান্স লজ্জাজনক
বৃহস্পতিবার বিধাননগরে মাড়োয়ারিদের এক দোলের উৎসবে যোগ দেন বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত। সেখানে নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে সব্যসাচী দত্ত বলেন, “ভারত মাতা কি জয়”। সাধারণত এই স্লোগান শোনা যায় নরেন্দ্র মোদী সহ বিজেপি নেতাদের মুখে। আর এই নিয়েই ফের শুরু হয়েছে বিতর্ক। “ভারত মাতা কি জয়, আমার প্রিয় স্লোগান”, পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা। তারপরেই তৃণমূলের তরফে তাঁর কাছে জবাবদিহি চাওয়া হবে বলেই জানা গেছে।
আরও পড়ুনঃ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বে ভরা তৃণমূলের তারকা তালিকা নির্বাচন কমিশনে
মুকুল রায়ের সঙ্গে লুচি-আলুর দম পর্বের পর, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করে বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত ঘোষণা করেছিলেন, “দলেই আছি, দলেই থাকব”। এবার নিজের দুর্গে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে বলেই ফেললেন, “ভারত মাতা কি জয়”। বিজেপি নেতাদের মুখেই এই স্লোগান বেশি শোনা যায়। কিন্তু, তৃণমূল নেতার মুখে ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান বেশ খানিকটা কানে লেগেছে রাজনৈতিক মহলেরও।
আরও পড়ুনঃ ভোটের গানে বিপাকে বাবুল, কমিশনের হাতে টুইট অস্ত্র
সুধু তাই নয়, বসন্ত উৎসবের মঞ্চে উঠে প্রকাশ্যে মেয়র থাকা না থাকা নিয়েও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন সব্যসাচী দত্ত। জানান, “তিনি মেয়র বা বিধায়ক থাকবেন কি না, তা নিয়ে তিনি চিন্তত নন। কারণ, তিনি মেয়র হয়ে জন্ম নেননি”। বৃহস্পতিবার দুপুরে সল্টলেকের সিএফ পার্কে মাড়োয়াড়ি সমাজের হোলিতে অংশ নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত যা যা বললেন, তাতে তাঁর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার জল্পনাকে আরও তীব্র করল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
আরও পড়ুনঃ বাবুলকে হারাতে ১ কোটি টাকার কাজের টোপ, বিতর্কিত ঘোষণা মেয়রের
তৃণমূল নেতা ও মন্ত্রী এবং উত্তর ২৪ পরগণা জেলা তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতির্ময় মল্লিক জানিয়েছেন, “দলের মুখ্যসচিব ও দলনেত্রীকে গোটা ব্যাপারটা জানান হবে। তাঁরা যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই আমরা মেনে নেব”। সবমিলিয়ে প্রতিদিন দলকে বিড়াম্বনার মধ্যে ফেলে কি নিজের বিজেপি-তে যাওয়ার রাস্তা পরিস্কার করছেন সব্যসাচী দত্ত? প্রশ্ন কিন্তু উঠছে।
আরও পড়ুনঃ নির্বাচন কমিশনের নতুন অ্যাপ সি ভিজিল, জনতার অভিযোগে ১০০ মিনিটের মধ্যে ব্যবস্থা
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।