কি হচ্ছে দফায় দফায় গত দুদিন ধরে মোমিনপুরে? কি হয়েছে রবিবার একবালপুর থানাতে? কি চলছে দুদিন মোমিনপুরে? কোন মিডিয়ায় কোন খবর নেই। পুলিশ প্রশাসনের কোন খবর নেই। যেন কিছুই হয়নি। ঠিক কি হচ্ছে এই দুটি এলাকায়? স্থানীয় বাসিন্দারা কি বলছেন? কি হল লক্ষ্মীপুজোর রাতে, এই বাংলায়? বাংলার মিডিয়া রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ দেখায়, মোমিনপুর, মেটিয়াবুরুজ দেখাতে পারে না। কি আশ্চর্য, তাই না?
মোমিনপুর, একবালপুর থানায় চলল, একটি বিশেষ ধর্মের মানুষের তাণ্ডব। ভাঙা হল হিন্দুদের গাড়ির দোকান। ভাঙা হল দুর্গা পুজো শেষ হয়ে যাবার পরে, রয়ে যাওয়া প্যান্ডেলের বাঁশের কাঠামো। শনিবারের হামলার পরে, রবিবার সন্ধ্যার পর থেকে ফের চলল তাণ্ডব। বাংলার কোন মিডিয়া, সে খবর দেখায়নি। এই তিন এলাকায় কোন রিপোর্টার পাঠাবার সাহস দেখায়নি, বাংলার কোন মিডিয়া। ইউক্রেনে প্রতিনিধি পাঠাতে পারলেও, অফিসের কাছে ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে কোন প্রতিনিধি পাঠাবার সাহস কেউ দেখায়নি।
আরও পড়ুনঃ অক্টোবর ১০, লক্ষ্মী পুজোর দিন শুরু হয়েছিল নোয়াখালীর ‘হিন্দু নি’ধন’ যজ্ঞ
মোমিনপুর এলাকায়, একবালপুর থানায় তাণ্ডবের ঘটনায়, ব্যবস্থা নিতে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যের রাজ্যপালকে অনুরোধ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে, সৈয়দ ইশতিয়াক আলম টুইট করে জানাচ্ছেন, এইসব হামলার পিছনে কারা আছে, এই নামগুলো নিয়ে তদন্ত করুক কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য প্রশাসন।
সৈয়দ ইশতিয়াক আলম নিজের টুইটে অভিযোগ করেছেন, ১। গোলাম আশরফ, Phoenix Group এর মালিক ২। রেহান খান, তৃণমূল কাউন্সিলর সামস ইকবালের জামাই ও ৩। শাহবাজ আলম, ফিরহাদ হাকিমের ঘনিষ্ঠ, এই তিনজন এই পরিকল্পনার তাণ্ডবে জড়িত। তিনি নিজের অভিযোগ টুইটে জানিয়ে ট্যাগ করেছেন, কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে।
কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে, আদৌ কোন তদন্ত হবে কি? নাকি মোমিনপুর এলাকায়, একবালপুর থানায়, এইভাবেই ছিটেফোঁটা টিকে থাকা হিন্দুদের বারবার ভয় দেখানো হবে? তাদের উপর তাণ্ডব হবে বারবার? লক্ষ্মীপুজোর সময় কি নোয়াখালীর ঘটনা আর একবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া হল হিন্দুদের? এটাই এখন বড় প্রশ্ন।