‘বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো’। আবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ। মঙ্গলবার মাধ্যমিকের বাংলা পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিট আগে থেকেই বিভিন্ন জেলায় হোয়াটস অ্যাপে মাধ্যমিক পরীক্ষার একটি প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর দেখা যায়, আসল প্রশ্নের সঙ্গে মিল রয়েছে ওই প্রশ্নপত্রের। এরপরেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
আরও পড়ুনঃ ডানলপে ভয়াবহ আগুন, লেলিহান আগুনের গ্রাসে সব
প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি সামনে আসার পরই বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অভিভাবকরা। প্ৰশ্ন ফাঁস নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে ফোন করা হলে, তিনি এখনই এই বিষয়ে কিছু বলতে চান নি। বিষয়টি নিয়ে তিনি খোঁজ খবর নিয়ে জানাবেন বলেই জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর আগেই গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় হোয়াটস অ্যাপে মাধ্যমিক পরীক্ষার একটি প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ে। মানুষের মোবাইলে ঘুরতে থাকে বাংলা প্রশ্ন। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর দেখা যায়, আসল প্রশ্নের সঙ্গে মিল রয়েছে ওই প্রশ্নপত্রের। এরপরেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
আরও পড়ুনঃ ফের লজ্জার অন্ধকারে সিবিআই, চরম অপমানের শাস্তি সিবিআই প্রধানকে
এত সতর্কতা নেওয়া সত্ত্বেও কি করে ফাঁস হল মাধ্যমিকের বাংলা প্রশ্নপত্র? উঠে গেছে প্রশ্ন। তবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করা হচ্ছে কোন পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে কোন পরীক্ষার্থী নিজের মোবাইলে আসল প্ৰশ্নপত্রের ছবি তুলে তা ছড়িয়ে দেয়। হোয়াটস অ্যাপে প্রশ্নপত্রের ছবির সময় অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে ১১৫৮ থেকে ১২০০ টার মধ্যে পোস্ট করা হয়েছে এই ছবি।
এর উদ্দেশ্য দুটো হতে পারে। ১. বিতর্ক তৈরি করা ও ২. টুকলির জন্য প্ৰশ্ন বাইরে পাঠানো। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, তাই যদি হয় তাহলে এত সাবধানতার পরও পরীক্ষার হলে মোবাইল ঢুকল কি করে? সব নিয়ে প্রশ্ন ফাঁস বিষয় নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
আরও পড়ুনঃ হোটেলে ভয়াবহ আগুন, জীবন্ত দগ্ধ ১৫, লাফ মেরে মৃত আরও ২
যদিও ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র এর পিছনের ছবি দেখে মনে হচ্ছে না এটা কোন স্কুলের বেঞ্চে তোলা। সেক্ষেত্রে কোন পরীক্ষার্থী নিজের মোবাইলে আসল প্ৰশ্নপত্রের ছবি তুলে তা ছড়িয়ে দিয়েছে না এটা কোন শিক্ষকের কাজ সেটাও কিন্তু প্রশ্ন।
সব মিলিয়ে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না মধ্যশিক্ষা পর্ষদের। স্বাভাবিকভাবেই এই নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার তীর রাজ্য প্রশাসন বা রাজ্যের শিক্ষা দফতরের দিকেই। তবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কর্তাদের মত অনুযায়ী এর ফলে ক্ষতি কিছু হয়নি। কিন্তু কে বা কারা এই অপরাধটা করল, সেটাই এখন তদন্ত করে দেখছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
আরও পড়ুনঃ ধর্মতলায় আন্দোলনের অধিকার শুধু মমতার, বাকি সবার জন্য নিষিদ্ধ
তবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ যতই বলুক, এর ফলে ক্ষতি কিছু হয়নি। কিন্তু এই নিয়েই তীব্র ক্ষোভ অভিভাবক মহলে। একটা সামান্য পরীক্ষাও ঠিকমত নিতে পারে না মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, অভিযোগ তাদের। আর নিয়েই রাজ্যের শিক্ষা দফতরকে তোপ দেগেছেন বিরোধীরা।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।