‘সন্ধান চাই’, ‘নিখোঁজ’ তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান, পোস্টার এলাকায়

224
'সন্ধান চাই', ‘নিখোঁজ’ সাংসদ নুসরত জাহান, পোস্টার এলাকায়
'সন্ধান চাই', ‘নিখোঁজ’ সাংসদ নুসরত জাহান, পোস্টার এলাকায়

‘সন্ধান চাই’, ‘নিখোঁজ’ তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান, পোস্টার এলাকায়। বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান নাকি ‘নিখোঁজ’! হ্যাঁ, এমন পোস্টারেই ছয়লাপ হাড়োয়া বিধানসভার চাপাতলা পঞ্চায়েত এলাকা। ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়; কিন্তু আসল ব্যাপারটা কী? কেন এমন পোস্টার পড়ল এলাকায়? তাও আবার হাড়োয়া বিধানসভা এলাকায়?

সোমবার পড়েছে, নুসরাত জাহান নিখোঁজ পোস্টার। সাংসদ নাকি নিখোঁজ! শাসক দলের গো’ষ্ঠীদ্ব’ন্দ্বের জেরেই এই ধরনের পোস্টার পড়েছে বলে; দাবি বিরোধী শিবিরের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন; স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। দেগঙ্গা ব্লকের হাড়োয়া বিধানসভার চাঁপাতলা পঞ্চায়েতটি; বসিরহাট লোকসভার অন্তর্গত। সোমবার এই পঞ্চায়েতের কেয়াডাঙা এবং চাপাতলা এলাকায়; অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত জাহানের নামে ‘নিখোঁজ’ এবং ‘সন্ধান চাই’ পোস্টার দেখা যায়। কোনও পোস্টারের নিচে লেখা; ‘সাধারণ জনগন’, আবার কোনওটায় লেখা ‘প্রতারিত জনগন’।

'সন্ধান চাই', ‘নিখোঁজ’ সাংসদ নুসরত জাহান, পোস্টার এলাকায়
‘সন্ধান চাই’, ‘নিখোঁজ’ সাংসদ নুসরত জাহান, পোস্টার এলাকায়

ঘটনাটি জানাজানি হতেই; এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী শিবির। অবশ্য বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরতের নামে নিখোঁজ পোস্টার মারার ঘটনাটি, ‘সাংসদের উপর এলাকাবাসীর ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ’; এমনটাই মনে করছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। দেগঙ্গার চাপাতলা পঞ্চায়েতের প্রধান হুমায়ুন রেজা চৌধুরী বলেন; “গত ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত; বসিরহাটের সাংসদ ছিলেন হাজি নুরুল ইসলাম। এলাকার উন্নয়ন-সহ সব কাজে; সাধারণ মানুষ থেকে তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে পাশে পেয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে তৃণমূল সাংসদকে; এলাকায় পাওয়াই যায় না। সম্ভবত সেই কারণেই এলাকার মানুষ; এই ধরনের পোস্টার দিয়েছে”। বিষয়টি জানার পরেই দলের কর্মীদের দিয়ে; সব পোস্টারগুলি ছিঁড়ে ফেলা হয় বলেও জানান তিনি।

যদিও, সাংসদ নুসরাত জাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি; “এটা বিরোধীদের কাজ। কোনও ইস্যু না থাকার কারণেই; বিরোধীরা এই ধরনের কুৎসা রটাচ্ছে। এলাকার উন্নয়নে সাংসদের ভূমিকা রয়েছে; স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গেও সাংসদ নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন”। অন্যদিকে, নিজেদের সাংসদের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ; বসিরহাটের সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ, বসিরহাট উত্তর ও দক্ষিণ বিধানসভার তৃণমূলের একাংশও। তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের একাংশের অভিযোগ; তিনি শুধু ভোটের সময়; বসিরহাটে প্রচার করতে আসেন। করোনা-কালে বসিরহাটের সাংসদকে দেখা যায়নি; গতবছর আমফানের সময়ও মানুষ তাঁকে পাশে পায়নি”। এই নিয়ে সাংসদ-অভিনেত্রীর কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন