নিজস্ব সংবাদদাতা: লোকসভা ভোটের আগে দেশ জুড়ে উৎসবের মাসে, প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুদ বাড়াল কেন্দ্র। সাধারণ প্রভিডেন্ট ফান্ড (জিপিএফ) ও সংশ্লিষ্ট আমানত প্রকল্পগুলির সুদের হার ০.৪ শতাংশ বাড়াল কেন্দ্রীয় সরকার। ভোটের দিকে তাকিয়েই এই সিদ্ধান্ত, মত বিরোধীদের। তবে, খুশির ছোঁয়া কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মুখে।
সাধারণ প্রভিডেন্ট ফান্ড (জিপিএফ) ও সংশ্লিষ্ট আমানত প্রকল্পগুলির সুদের হার ০.৪ শতাংশ বাড়াল কেন্দ্রীয় সরকার। তার ফলে ওই সুদের বর্তমান হার হল ৮ শতাংশ। এ বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর, এই ত্রৈমাসিকের জন্য ওই সুদের হার বাড়ানো হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রকের এক বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার জানানো হয়েছে।
এই সুবিধার আওতায় পড়ছেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। এই সুবিধা পাবেন রেল ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও তার নোডাল এজেন্সিগুলির কর্মচারীরাও।
কেন্দ্রীয় অর্থনীতি মন্ত্রক সূত্রের খবর, চলতি আর্থিক বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে জিপিএফে সুদের হার ছিল ৭.৬ শতাংশ। জিপিএফ বা সংশ্লিষ্ট যে আমানত প্রকল্পগুলিতে এত দিন ৭.৬ শতাংশ হারে সুদ জমা পড়ছিল, সেই সবগুলিতেই অক্টোবরের ১ তারিখ ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ পর্যন্ত, ৮ শতাংশ হারে সুদ জমা পড়বে বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এর ফলে PPF বা পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডের মতোই GPF এরও সুদ হল ৮ শতাংশ। আগেই, ১ লা অক্টোবর থেকে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বা PPF এর সুদের হার ৮ শতাংশ ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার।
সেপ্টেম্বরেই কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছিল যে, স্বল্প সঞ্চয়, NSC ও PPF এর সুদ ০.৪ শতাংশ বাড়ান হবে। ব্যাংকে জমার পরিমান বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দিল মোদী সরকার।
তবে কংগ্রেস সহ বিরোধীরা এটাকে স্বাগত জানালেও, লোকসভা ভোটের আগে এই বৃদ্ধি করায় কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনাই করেছে তারা। কংগ্রেসের তরফ থেকে বলা হয়েছে, আরও আগেই এই সুদ বৃদ্ধি করা উচিত ছিল। ভোটের কথা মাথায় রেখেই এখন করল সরকার।
যদিও বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি নেতারা। কংগ্রেসের কিছু বলার নেই, তাই মানুষের উপকার হচ্ছে এমন বিষয়েও সরকারের সমালোচনা করছে, মত বিজেপি নেতাদের।
সব মিলিয়ে উৎসবের সময় কেন্দ্রের কাছ থেকে কিছুটা হলেও ভালো খবর পেলেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা। তবে সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন এই বৃদ্ধিতে খুশি নয়। তবে জানুয়ারি থেকে পরের ৩ মাস সব স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পেই সুদ আরও কিছুটা বাড়তে পারে বলেই মনে করছে অর্থনীতিবিদরা।