The News বাংলা: সিবিআই প্রধান অলোক বর্মা মামলায় হার মোদী সরকারের। সুপ্রিম কোর্ট রায় দিল, ‘অলোক বর্মার অপসারণ সম্পূর্ণ বেআইনি। মঙ্গলবার থেকেই কাজে যোগ দিতে পারবেন সিবিআই প্রধান অলোক বর্মা’। তবে তিনি কোন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত একা নিতে পারবেন না বলেই নির্দেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
অলোক বর্মা বনাম কেন্দ্র সরকার মামলায় বড় জয় সিবিআই ডাইরেক্টর অলোক বর্মার। মুখ পুড়ল নরেন্দ্র মোদী সরকারের। সিবিআই ডাইরেক্টরের অপসারণের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিল সর্বোচ্চ আদালত। সিবিআই প্রধান অলোক বর্মাকে ছুটিতে পাঠিয়ে কেন্দ্রের জারি করা ২৩শে অক্টোবরের নির্দেশ খারিজ সুপ্রিম কোর্ট এর।
গত ২৩ অক্টোবর মধ্যরাতে নজিরবিহীনভাবে সিবিআইয়ের এই শীর্ষকর্তাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন সিবিআই ডাইরেক্টর অলোক বর্মা। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত বেআইনি ঘোষণা করে, তাঁর সেই আবেদন মঞ্জুর করল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে একাধিক ইস্যুতে স্বস্তি পেলেন সিবিআই ডাইরেক্টর। অলোক বর্মাকে তাঁর পদে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে, সিবিআইয়ের কাজে কেন্দ্র কোনওভাবেই হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
আরও পড়ুনঃ
মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করতে গেলেই বাবা মা-কে দিতে হবে মুচলেকা
হিন্দুত্ববাদীদের নিশানা করতে মসজিদে পাথর ছুঁড়ে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা, ধৃত সিপিএম নেতা
উচ্চবর্ণের গরীব হিন্দুদের জন্য সংরক্ষণ মোদীর, দেশ জুড়ে বিতর্ক
ভোরবেলায় শবরীমালা মন্দিরে ঢুকে ইতিহাস সৃষ্টি ‘মা দুর্গার’
দেশপ্রেম বাড়াতে স্কুলের রোল কলে এবার ‘জয় হিন্দ’ ও ‘জয় ভারত’
ফের গরু চোর সন্দেহে খুন, এবার ‘গোরক্ষকের’ নাম মুসলিম মিঁয়া
তবে, সিবিআইয়ের ডাইরেক্টর পদে ফিরে এলেও সংস্থার নীতি নির্ধারণে বা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত একা নিতে পারবেন না অলোক বর্মা। সিবিআই ডাইরেক্টর নিয়োগ বা অপসারণের সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের কমিটি। এই কমিটিতে থাকেন বিরোধী দলনেতাও। সাত দিনের মধ্যে এই কমিটিকে বসে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ আদালতের। অলোক বর্মার অবসরের মেয়াদ ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। তারপর কী পদক্ষেপ হবে, তা ঠিক করবে ওই কমিটি।
সিবিআই ঝামেলার মাঝেই ২৩শে অক্টোবর মধ্যরাতের পর হঠাৎ করে তাঁকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠিয়ে দেয় কেন্দ্র। তাঁর অপসারণ বেআইনি, সিবিআই- এর মত সংস্থার স্বশাসনে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে, এই মর্মে আদালতে আপিল করেছিলেন অলোক বর্মা।
শুনানি চলাকালীন কেন্দ্রকে একাধিক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। ঠিক কী পরিস্থিতিতে সিবিআইয়ের প্রধানকে অপসারণ করা হয়, শুনানি চলাকালীন এই প্রশ্ন করা হয় সরকারপক্ষকে। সরকারের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল সওয়াল করে বলেন, সিবিআইয়ের অভ্যন্তরে একটি বিশেষ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল যা বরদাস্ত করা সম্ভব ছিল না। সিভিসি-র সুপারিশ মেনেই অপসারণ করা হয় ভার্মাকে। যদিও, কেন্দ্রের সেই যুক্তি খারিজ হয়ে যায় আদালতে।
আরও পড়ুনঃ
বউ অদল বদল, বিকৃত যৌনাচারে ধর্ষণের অভিযোগ গৃহবধূর
EXCLUSIVE: সংখ্যালঘুদের ধর্মে সুড়সুড়ি দিয়ে প্রকাশ্যে ভারতের টাকার কালোবাজারি
EXCLUSIVE: নতুন বছরে সুখবর, রাজ্য সরকারি কর্মীরা পাচ্ছেন বকেয়া ডিএ
বিজেপি না তৃণমূল, পাহাড়ে মোর্চার জোট নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
প্রধান বিচাররপতির ডিভিশন বেঞ্চে এতদিন ধরে এই মামলার শুনানি চলছিল। তবে, মঙ্গলবার ছুটিতে ছিলেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈই। তাঁর পরিবর্তে রায়ের কপি পড়ে শোনান বিচারপতি সঞ্জয় কিষণ কল। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি এস কে কল ও কে এম জোসেফের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার রায় দিয়েছেন।
আদালতের এই রায়কে ইতিমধ্যেই স্বাগত জানিয়েছে কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধীরা। কংগ্রেস, তৃণমূল, বাম সহ বিজেপি বিরোধী দলগুলি এই রায়ের পর প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন। যদিও বিজেপির তরফ থেকে এটাকে কেন্দ্রের হার মানতে রাজি নন নেতারা। কিন্তু লোকসভা ভোটের আগে এটা যে বিজেপির পক্ষে বড় ধাক্কা তা বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।