বুধবার কোচবিহারের দিনহাটায় তৃণমূলের নির্বাচনী জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী তার কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন। আজ, বৃহস্পতিবার, আবারও উত্তরবঙ্গের মাথাভাঙায় ভোট প্রচারে এসে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল নেত্রী। নরেন্দ্র মোদীকে খোঁচা দিয়ে বললেন, “কি করে প্রধানমন্ত্রী হল ভগবান জানে!”
আরও পড়ুনঃ ভোটের মুখে তৃণমূল সভাপতির বাড়ি থেকে উদ্ধার অস্ত্র ও কোটি কোটি টাকা
“কুচবিহারের উন্নয়ন আমরা করেছি। আগে যেখানে কিছু ছিল না, এখন সেখানে অনেক কিছু তৈরি হয়েছে। ছিটমহলের সমাধানও মা মাটি মানুষের সরকার করেছে। কোন পার্টি যখন কিছু করেনি, তখন তৃণমূল কাজ করেছে।” প্রথমেই তৃণমূলের কর্মকাণ্ডের কথা দিয়ে সভা শুরু করেন নেত্রী।
আরও পড়ুনঃ বাংলায় উন্নতিতে বাধা ‘স্পীডব্রেকার’ মমতা, কটাক্ষ মোদীর
তারপরই সরাসরি মোদীর কথা বলেন মমতা। “কথায় চিঁড়ে ভেজে না। মোদী শুধু কথায় বলে যায়। কেউ বলছে দেশের সব নাগরিক চৌকিদার। কেউ বলছে চৌকিদার চোর হে। কিন্তু আমি বলছি, চৌকিদার ‘চোর’ নয়, ‘ঝুঠা’ হে”, মোদী সরকারের অনন্য ভোট ক্যাম্পেনের স্লোগানকে খোঁচা মারেন মমতা।
আরও পড়ুনঃ গাধা না ঘোড়া, দিনভর বিতর্কের পর জানা গেল খচ্চরের পিঠে ভোটপ্রার্থী
মোদী চাওয়ালা থেকে চৌকিদার হয়েছে, ‘ড্রামাবাজী’ করে। তিনি একসময় চাওয়ালা ছিলেন, তারপর হঠাত চৌকিদার হয়ে গেলেন। নিজের নামে সিনেমা করে ফেললেন, মনে হলে, তাই হঠাত করে নিজের নামে “নামো” টিভি করে ফেললেন। কাপড়জামাতেও নিজের ছবি দিয়ে বিক্রি করছেন মোদী। এর দ্বারা এটাই প্রমাণ হয় যে তিনি শুধু প্রচার চান। মাথাভাঙা জনসভা থেকে মোদী কে সরাসরি তোপ দেন মমতা।
আরও পড়ুনঃ পাকিস্থানে বিমানবাহিনীর হামলা, বাংলায় কাঁদল দিদি
মোদীর সরকার আসার পর, ২ কোটি মানুষ বেকার হয়েছে। “চাবাগান বন্ধ হওয়ার পর আমরা যেমন সাহায্য করেছিলাম, তেমন বাংলায় বেকারত্ব কমিয়েছি আমরা। কারন, বাংলা যা পারে তা আর কেউ পারে না।” এমনটা আবারও দাবি করলেন তৃণমূল নেত্রী।
আরও পড়ুনঃ দিল্লিতে গান্ধী ও বাংলায় বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারতন্ত্রকে ব্রিগেডে খোঁচা মোদীর
বুধবারও বাংলায় বেকারত্ব কমানোর সম্বন্ধে মমতা বলেন, তাঁর জমানায় বাংলায় চাকুরী হয়েছে ১ কোটি যুবক যুবতীর, পরিসংখ্যানও তুলে এমনই দাবি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আগাগোড়াই মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। নরেন্দ্র মোদী ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার আগে প্রতি বছর ২ কোটি কর্মসংস্থান করবেন বলে জানিয়ে ছিলেন। যদিও মোদীর ৫ বছর জমানার পর পরিসংখ্যান স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুনঃ চৌকিদারের ডান্ডা দেখে ভয় পেয়েছে কংগ্রেস, মন্তব্য বিবেকের
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১ কোটি কর্মসংস্থান তৈরির কথা বললেও বিরোধীরা সেই হিসেব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন জনসভায় লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টির দাবি করেছেন। কিন্তু বিরোধীদের কটাক্ষ, বাংলায়সৃষ্টি সৃষ্ট সৃষ্টির চপ শিল্প, বোমা শিল্প ছাড়া আর কোনো শিল্প নেই। প্রতি বছর ঢাক বাজিয়ে শিল্পপতিদের নিয়ে সম্মেলন হয়, কিন্তু বাস্তবে শিল্প সৃষ্টির আসল চিত্র অনেকের কাছেই সন্দেহাতীত।
আরও পড়ুনঃ অ্যান্টি স্যাটেলাইট টেস্ট নিয়ে নাসার অভিযোগ উড়িয়ে দিল ভারত
মাত্র ১ সপ্তাহ আগেই এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকুরী প্রার্থীদের দীর্ঘ প্রায় ১ মাস ধরে চলা অনশনের সমাপ্তি হয়েছে। খোলা আকাশের নিচে ত্রিপল টানিয়ে চাকুরী প্রার্থীদের অনশন দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল সারা বাংলার। কিন্তু অনশনকারীদের চাকুরীর আশ্বাস দেওয়া নিয়ে সরকারের তেমন হেলদোল দেখা যায়নি।
আরও পড়ুনঃ দুই বছর পর পাহাড়ে ফের প্রকাশ্যে বিমল গুরুং রোশন গিরি
আন্দোলনকারীদের প্রতি প্রথম থেকেই ছিল সরকারের উন্নাসিক মনোভাব। অনশনের ২৮ দিনের মাথায় মুখ্যমন্ত্রী চাকুরী প্রার্থীদের সাথে দেখা করে তাদের বিষয়টি ভেবে দেখার আশ্বাস দেন। যদিও নির্বাচনী আচরনবিধি লাগু হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী কোনও প্রতিশ্রুতি দেননি।
আরও পড়ুনঃ মমতার দাবি না মেনে জঙ্গলমহল থেকে ৩০ কোম্পানি বাহিনী তুলছে নির্বাচন কমিশন
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।