অবধারিতভাবে আরেকটি মহামারি ফ্লু দ্বারা সংক্রমিত হতে যাচ্ছে। গোটা বিশ্বকে আসন্ন এই মহামারির কারণে সম্ভাব্য ক্ষতি সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থা হু (ডব্লিউএইচও) সোমবার বিশ্ব নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, এই মহামারি যেন মারাত্মক কোনো বিপর্যয় ডেকে আনতে না পারে সে বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
আরও পড়ুনঃ চিকেন খেলেও বাড়ছে বিপদ বলছে রিপোর্ট
ভাইরাল রোগ প্রতিরোধে বৈশ্বিক রূপরেখা প্রণয়ন ও আর বিশ্বজুড়ে এই রোগের প্রাদুর্ভাবকে সামনে রেখে করণীয় প্রসঙ্গে জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক এই সংস্থা বলছে, আসন্ন ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারি দেখা দেবে ‘সেটা অবধারিত কিন্তু কখন হবে এটাই হলো বিষয়’।
আরও পড়ুনঃ আমলকির আছে বেশ কিছু অসাধারণ উপকারিতা
হুর মহাপরিচালক টেড্রোস আধানোম এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মহামারি ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা সবসময়ই ছিল। আমাদের এই বিষয়ে অবশ্যই সাবধান ও প্রস্তুত থাকতে হবে। একটি বড় ধরনের মহামারি যদি ছড়িয়ে পড়ে তাহলে তা দমনে আমাদের চরম মূল্য দিতে হবে’।
আরও পড়ুনঃ গাজর এর অসাধারণ উপকারিতা জেনে নিন
গোটা বিশ্বে ২০০৯ ও ২০১০ সালে সর্বশেষ এই ফ্লু মহামারি ছড়িয়ে পড়েছিল। যার পেছনে ছিল এইচ১এন১ ভাইরাস। মহামারি সংক্রান্ত গবেষণা করে দেখা গেছে, প্রথম বছর প্রতি পাঁচজন মানুষের মধ্যে একজন এই রোগে আক্রান্ত হন। আর এতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ০.০২ শতাংশের ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুনঃ সহজেই ঘরোয়া উপায়ে চোখের নিচের কালো দাগ দুর করুন
বিশ্বের স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞরাও হু এর মতই সতর্ক করে বলেছেন, মরণব্যাধি হিসেবে এই ফ্লু ভাইরাস একদিন পশু-প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়বে। আর এই ফ্লু সংক্রমিত হবে লাখো মানুষের শরীরে। আর প্রত্যেক মৌসুমে ফ্লু ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে তাতে আক্রান্ত হবে কোটি কোটি মানুষ।
কি করে এই বিপদ থেকে বাঁচা যাবে বা নতুন কোন টিকা দেওয়া যায় কিনা সেটাই দেখছে হু। ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে হু। সতর্ক করেছে বিশ্বের সব দেশকেই। বিশেষ করে সতর্ক করা হয়েছে ভারত ও চিন সহ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিকে।