পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংবাদপত্র নোবেল শান্তি পুরস্কারের প্রাথমিক তালিকায় জায়গা দিয়েছে। ইমরানকে তালিকাভুক্ত করা মার্কিন ওই সংবাদপত্রটির নাম ‘দ্য ক্রিশ্চিয়ান সায়েন্স মনিটর’।
মার্কিন ওই পত্রিকার মতে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার চলমান উত্তেজনা কমাতে তাঁর ভূমিকার কারণেই নোবেল শান্তি পুরস্কারের প্রাথমিক তালিকায় ইমরান খানকে জায়গা দেওয়া হয়েছে। ইমরানের পাশাপাশি উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যকার শান্তি আলোচনার পদক্ষেপ নেওয়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইনকেও তালিকায় জায়গা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ দেশ বা সরকারের সমালোচনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেই জেল
ওই তালিকায় আরও আছেন ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়ার মধ্যে চুক্তি সম্পাদনে মূল ভূমিকা রাখা ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবিই আহমেদ এবং ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা জুয়ান গুয়াইদো।
‘দ্য ক্রিশ্চিয়ান সায়েন্স মনিটর’-এর খবরে অবাক করে বলা হয়েছে, শান্তিপূর্ণ নেতৃত্বের ক্ষেত্রে সম্ভবত সবচেয়ে বড় বিস্ময় এবং বিশ্বের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলেন ইমরান খান।
আরও পড়ুনঃ জঙ্গি প্রশিক্ষণ চলায় ১৮২টি মাদ্রাসা বন্ধ করল পাকিস্তান
ভারত ও পাকিস্তান এর মধ্যে নতুন করে সমস্যা শুরু হয় ১৪ ফেব্রুয়ারি। ওইদিন কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আধা সামরিক বাহিনী সিআরপিএফের গাড়িতে আত্মঘাতী হামলা করে পাকিস্থানের জঙ্গিরা। শহিদ হন ৪৯ জনের বেশি ভারতীয় জওয়ান। পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ এই হামলার দায় স্বীকার করে।
আরও পড়ুনঃ পাকিস্তানি চায়ের বিজ্ঞাপনের ভাইরাল ছবিতেও ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন
পুলওয়ামায় ঘটনার ১২ দিন পর ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে পাকিস্তান এর বালাকোটে বিমান হামলা চালায় ভারত। নয়াদিল্লি জানায় ওই হামলায় পাকিস্তান এর জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের বড় ঘাঁটি গুঁড়িয়ে গেছে। নিহত হয়েছে ৩০০ জঙ্গি। জঙ্গি ঘাঁটিতে আকাশপথে মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা চালায় ভারতীয় বিমানবাহিনী।
আরও পড়ুনঃ পরের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে বিমানে বেঁধে নিয়ে যাওয়া হবে বিরোধীদের
এরপরই ভারত ও পাকিস্থানের মধ্যে চরম উত্তেজনা শুরু হয়। এদিকে সেই হামলার পরদিনই ভারতের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে পাকিস্তানের একাধিক যুদ্ধবিমান। তাদের লক্ষ ছিল এ দেশের সৈন্য ঘাঁটি আক্রমণ। কিন্তু তা অস্বীকার করে পাকিস্তান। ভারতীয় মিসাইলে ধ্বংস হয় একটি পাক এফ ১৬ বিমান।
আরও পড়ুনঃ ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের এফ ১৬ এর অপব্যবহার, মার্কিন রিপোর্ট
এরপরেই পাক যুদ্ধ বিমান পাকিস্তানে ফেরত পাঠাতে গিয়ে পাক গোলায় ধ্বংস হয় একটি ভারতীয় বিমান। ভারতীয় যুদ্ধবিমানের পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে আটকে তাঁর ভিডিও প্রকাশ করে পাকিস্তান। যদিও কিছুক্ষণ পরই সেই ভিডিও মুছে ফেলা হয় পাকিস্থানের তরফে। কিন্তু ততক্ষণে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে পরে সেই ভিডিও।
আরও পড়ুনঃ পাকিস্তানে বিমানহানার প্রমাণ সরকারের হাতে, বাকি সব গুজব
সেই ভিডিওতে অভিনন্দন বর্তমানকে চোখ বাঁধা অবস্থায় ও রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা যায়। আর তারপরেই বিশ্ব জুড়ে ওঠে সমালোচনার ঝড়। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দেশের চাপের মুখে পরে, জেনেভা কনভেনশন মেনে পাকিস্থান বাধ্য হয় অভিনন্দন বর্তমানকে মুক্তি দিতে।
আরও পড়ুনঃ ভারতের চাপে মাথা নত করল পাকিস্তান
ওই মার্কিন পত্রিকার মতে তাঁকে ফেরত দিয়ে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হন ক্রিকেটার থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়া ইমরান খান। আর এর জন্যই তাঁর নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া উচিত। এই রিপোর্ট নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পরে গেছে গোটা বিশ্বেই। যদিও মার্কিন সরকার এই রিপোর্টের তীব্র নিন্দা করেছে।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।