দেশ বা সরকারের সমালোচনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেই জেল

557
দেশ বা সরকারের সমালোচনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেই জেল/The News বাংলা
দেশ বা সরকারের সমালোচনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেই জেল/The News বাংলা

দেশ বা সরকারের সমালোচনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেই জেল, প্রস্তাব পাশ হয়ে গেল রাশিয়া পার্লামেন্টে। তবে এই নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে দেশ জুড়ে। আন্দোলনে নেমেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলি।

শুধু দেশ বা সমাজ নয়। সরকার থেকে সরকারি কর্মী এমনকী খোদ রাষ্ট্রপতির সমালোচনা করেও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেও হতে পারে জরিমানা থেকে জেল সবই। এই মর্মে প্রস্তাব পাস হল রাশিয়ার পার্লামেন্টে, যা নিয়ে সরব রাশিয়ার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মানবাধিকার সংগঠনগুলি।

বিলটিতে বলা হয়েছে, দেশ, সমাজ বা সরকারের পক্ষে মর্যাদাহানিকর মতামত প্রকাশ করলেই তা আইন বিরুদ্ধ হিসেবে গণ্য হবে। এক্ষেত্রে আইনের আওতায় কোনো ব্যক্তি থেকে রাজনৈতিক দল অথবা সামাজিক সংগঠন যে কেউ দোষী বিবেচিত হতে পারেন।

এক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশ বা সরকারের সমালোচনাকারীকে সর্বাধিক ১ লক্ষ রুবল জরিমানা গুনতে হতে পারে। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১,০৬,৩১৫ টাকা। একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে গুনতে হবে দ্বিগুণ জরিমানা। প্রস্তাবে এমন কিছুই আছে।

মস্কোর সোভ সেন্টারের প্রধান আলেকজান্ডার ভারখোভস্কি বিবৃতিতে জানান, এই নতুন আইন অনুযায়ী মজার ছলে কোনও ব্যক্তি রাশিয়ার পার্লামেন্টের ব্যাপারে অসম্মানজনক বা অবমাননাকর মন্তব্য করলেও তাকে আইনি সমস্যায় পরতে হবে।

যদিও কোন ধরনের মন্তব্য বা আচরণ সরকার বা সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অবমাননাকর বলে গণ্য হবে, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন।

আইন প্রনেতাদের আইন মোতাবেক আরও বলা হয়েছে, কোন সামাজিক মাধ্যমে যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা খবর বা প্ররোচনামূলক এবং বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন করা হয়, তবে সেই সোশ্যাল মিডিয়ার ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করবে সরকার। রাশিয়ার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল প্রো ক্রেমলিন ইউনাইটেড রাশিয়ান পার্টি এই প্রস্তাবকে সমর্থন করে।

মিডিয়া কি ধরনের খবর পরিবেশন করছে, বিশেষ করে উদ্দেশ্যমূলক, ধারাবাহিক মিথ্যা খবর প্রচার করলে মাধ্যমটিকে একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। দাঙ্গা বা অস্থিরতা ছড়ানোর দায়ে অভিযুক্ত হলে দেড় লক্ষ মিলিয়ন রুবল বা ২২,৭০০ মার্কিন ডলার জরিমানা গুনতে হবে বলে জানানো হয়।

বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই আইন পাস করে একদিকে সরকার স্বেচ্ছাচারী মনোভাবের প্রকাশ ঘটিয়েছে। এর ফলে বিনা বিচারে কোন ব্যক্তি বা সংগঠন শাস্তি ভোগ করতে পারে। সরকারের বিরুদ্ধে অতিমাত্রায় সেন্সরশিপের অভিযোগ এনেছেন বিরোধী দলীয় নেতা ভ্লাদিমির র‍্যাজখভ। সরকারকে তোপ দেগেছেন দেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলি।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন