প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনায় দারিদ্র্যের পরিমাণ কমবে ২০ শতাংশ। এমনটাই দাবি করেছে নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্রীয় সরকারের। ২০১৯ সালের কেন্দ্র সরকারের অন্তবর্তী বাজেটে ২ হেক্টরের কম পরিমাণ জমি রয়েছে, এমন কৃষকদের জন্য বার্ষিক ৬ হাজার টাকার উপহার ঘোষণা করা হয়। এর ফলে দারিদ্র্যের পরিমাণ কমবে ২০ শতাংশ, মনে করছেন ভারতের যোজনা কমিশনের প্রাক্তন সদস্যরাও।
প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনায় দারিদ্রতা কমবে, দাবি ছিল সরকার ও বিজেপির। শুরু হয় কংগ্রেস সহ বিরোধীদের সমালোচনা। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বারা সমালোচিত হলেও নরেন্দ্র মোদী সরকারের ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী কিষান স্কিমে প্রতি বছর যে ৬ হাজার টাকা করে সহায়তা মূল্যের ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে দারিদ্রের পরিমাণ ২০ শতাংশ কমবে বলে মনে করেন প্ল্যানিং কমিশনের প্রাক্তন সদস্য কিরীট পরীখ।
সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের তিনি তাঁর মতামত প্রকাশ করে বলেন, কেন্দ্র সরকারের গৃহীত এই স্কীমে বিপুল সংখ্যক দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী জনগণ দারিদ্র্য সীমার ওপরে উঠতে পারবেন। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারীদের সংখ্যা অনেকটাই কমবে।
এই ব্যাপারে তিনি রাজ্যভিত্তিক উদাহরণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন এই স্কিমের প্রথম কিস্তির টাকা ট্রান্সফার করার আগে বিহারে দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী জনসংখ্যা ছিল ৪০ শতাংশ। কিন্তু টাকা ট্রান্সফারের পরে দারিদ্র্য সীমার নিচে থাকা জনসংখ্যা কমে হয়েছে ৩০%। অর্থাৎ বিপিএল তালিকাভুক্তদের জায়গা থেকে তারা ওপরে ওঠার সুযোগ পেয়েছেন।
অন্যান্য রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের ক্ষেত্রেও দারিদ্র্য সীমার নিচে থাকা জনসাধারণের পরিমান হ্রাস পেয়েছে ১০ শতাংশের কাছাকাছি। এর সাথে বিগত ইউপিএ সরকারের খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের সুফল যুক্ত হলে দারিদ্র্যের পরিমাণ আরও কমবে বলে তিনি আশা করেন।
প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনার আওতাভুক্ত কৃষক পরিবারের জন্য দুর্ঘটনাগ্রস্ত বা পীড়িত অবস্থায় আর্থিক সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। ভারতকে দারিদ্র্য মুক্ত করার রাস্তা এখনও অনেকটা লম্বা। কিন্তু কেন্দ্রের এই প্রকল্প ভারতের দারিদ্র্য নিরসনে কয়েক ধাপ এগোতে সাহায্য করবে বলেই বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
তবে কংগ্রেস সহ বিরোধীরা এই প্রকল্পের ব্যপক সমালোচনা করেছেন। তারা এটাকে ভোটের চমক বলেই জানিয়েছেন। এককালিন টাকা দিয়ে কোন সমস্যার সমাধান হবে বা বলেই জানিয়ে দেন বিরোধীরা। তবে মোদীর এই প্রকল্পের কথাই ভোটের বাজারে প্রচারে তুলে ধরতে চেষ্টার কসুর করছে না মোদী ভক্তরা।