দুটো সার্জিক্যাল স্ট্রাইকই ফের ক্ষমতায় আনতে চলেছে নরেন্দ্র মোদীকে, এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক মহল। পাকিস্তানের সীমানা পেরিয়ে পাক অধ্যুষিত কাশ্মীরে প্রথম সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর ভারতের আমজনতার সমর্থন পেয়েছে মোদী সরকার। আর এবার পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংসের নির্দেশ দিয়ে ভোটের ঠিক আগে মানুষের মন জিতলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মঙ্গলবারের সাহসী বিমান হামলা আরও একবার ক্ষমতায় আনতে চলেছে নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপিকে।
আরও পড়ুনঃ সেনার সঙ্গে রাত জেগে পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গি খতমের নেতৃত্বে চৌকিদার
বছরের শুরু থেকেই বিভিন্ন সমীক্ষায় উঠে এসেছে ‘ফির একবার মোদী সরকার’ এর তথ্য। টাইমস মেগা সমীক্ষায় উঠে এসেছে, লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারকেই ফের মসনদে দেখতে চেয়েছেন ৮৩.০৩% মানুষ। মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারকেই ক্ষমতায় দেখতে চেয়েছেন অধিকাংশ মানুষ। প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদীর পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তবে তাঁর পক্ষে ভোট পড়েছে ৮.৩৩%।
আরও পড়ুনঃ বাজপেয়ীর মত ভুল করেননি, পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করলেন মোদী
ক্ষমতায় আসবে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এবিপি নিউজ-সি ভোটারের এক সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে বলে জানান হয়। এবিপি নিউজ চ্যানেলে সম্প্রচারিত এই সমীক্ষায় জানানো হয়েছে, এনডিএ পাবে ২৭৬টি আসন। তাদের ভোট শেয়ার থাকবে ৩৮ শতাংশ। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ ১১২টি আসন পাবে বলে সমীক্ষায় পূর্বাভাস করা হয়েছে। তাদের ভোট শেয়ার হবে ২৫ শতাংশ। অন্যান্যরা ৩৬ শতাংশ ভোট শেয়ার সহ ১৫৫টি আসন হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ পাকিস্তানের মাটিতে ঢুকে জঙ্গি মারল ভারতের বিমান
সম্প্রতি একটি অনলাইন সমীক্ষা করেছিল ডেইলিহান্ট ও নিয়েলসন ইন্ডিয়া। ওই সমীক্ষায় মতামত নেওয়া হয়েছিল ৫৪ লাখ মানুষের। এদের মধ্যে ছিলেন প্রবাসী ভারতীয়রাও। সমীক্ষা রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ৬৩ শতাংশ ভারতীয় জনগণের আস্থা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ওপর। পাশাপাশি ৫০ শতাংশ মানুষ চাইছেন ফের প্রধানমন্ত্রী হোন নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুনঃ ভারতীয় সেনার উপর নজরদারি করতে এসে গুলিতে ধ্বংস পাক গুপ্তচর ড্রোন
এদিকে ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সালে প্রথম সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এর দিনও রাত জেগে জঙ্গি খতমের নেতৃত্বে ছিলেন মোদী।
২৬ শে ফেব্রুয়ারী ২০১৯ এও সেই নরেন্দ্র মোদীই দিলেন নেতৃত্ব। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ১ এর মত সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ২ এর সময়ও প্রধানমন্ত্রী মোদী নয়াদিল্লির সাউথ ব্লকের দফতরে বসে গোটা অপারেশন ‘মনিটর’ করলেন।
আরও পড়ুনঃ ১৯ মিনিটের বিমান হানায় ধ্বংস জইশ ই মহম্মদের জঙ্গি ট্রেনিং ক্যাম্প
মঙ্গলবার ভোরে, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়েই শুধু নয়, পাকিস্তানের অন্তত ৪০ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়ে ভারতীয় বিমান বাহিনী। ভারতীয় বায়ুসেনার ১২টি মিরাজ ২০০০ বিমান আছড়ে পড়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও মূল পাক ভূখণ্ডে ৷ ১০০০ কেজি বোমা ফেলা হয় জঙ্গিঘাঁটি গুলিতে৷
আরও পড়ুনঃ ভারতের চাপে নাভিশ্বাস পাকিস্তানের ফের একটা সুযোগ ভিক্ষা
প্রায় ১০০০ কেজি বোমা ফেলে তারা। ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া হয় বালাকোট, মুজাফরাবাদ ও চকোটিতে জঙ্গিশিবিরগুলি। ২০ মিনিটের মধ্যে অপারেশন শেষ করে ভারতে ফেরে বিমানগুলি। এই হামলায় জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটি সহ বহু জঙ্গিশিবির গুঁড়িয়ে দিয়েছে বায়ুসেনা। পুরো ব্যাপারটা নিজে সাউথ ব্লকের ওয়ার রুমে বসে ‘মনিটর’ করলেন ‘চৌকিদার’ নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুনঃ পাক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মোদীকেই যোগ্য বলছেন দেশের মানুষ
আর এর জেরেই দেশ জুড়ে খুশির হাওয়া। গোটা দেশের মানুষ প্রায় উৎসবে মেতেছেন বলা যায়। আবির খেলে, মিষ্টি খাইয়ে রীতিমত উৎসব পালন করছেন দেশের প্রায় সব রাজ্যের মানুষ। পাকিস্তানের ঘরে ঢুকে এতদিনের একের পর এক জঙ্গি হামলার বদলা নিয়েছে ভারত। আর পিছনে সাহসী সিদ্ধান্ত সেই একটি মানুষেরই। দেশের ‘চৌকিদার’ নরেন্দ্র মোদী। আর এর ফলে ভোটের ঠিক আগে জনমানসে মোদীর ভাবমূর্তি যে আরও উজ্জ্বল হল, বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যার ফলে, ‘ফির একবার মোদী সরকার’ এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র, বলছেন ভোট বিশেষজ্ঞরাও।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।