লোকসভা ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদী সরকারের অন্তর্বর্তী বাজেট সংসদে পেশ হচ্ছে শুক্রবার ১লা ফেব্রুয়ারী। মনে করা হচ্ছে এই অন্তর্বর্তী বাজেট ভারতবাসির জন্য অনেক খুশির খবর বয়ে নিয়ে আসছে। লোকসভা ভোটের ঠিক আগেই এই বাজেট যে জনমুখি হবে সে নিয়ে কোন সন্দেহই নেই। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই মানুষ জানতে পারবে এই মোদী সরকারের শেষ বাজেট। রেল ও সাধারণ বাজেট একসঙ্গেই পেশ করবেন ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল।
আগামী এপ্রিল-মে মাসে দেশে লোকসভা ভোট। তার আগে এটাই বর্তমান সরকারের শেষ বাজেট। বাজেট পেশ করবেন ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। অন্তর্বর্তী বাজেট বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গোটা বছরের বাজেটের মতোই হয়। ভোটের আগে বেশ কিছু জনপ্রিয় সিদ্ধান্ত মোদী সরকার এই বাজেটে ঘোষণা করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে হয়েছে সংসদের বাজেট অধিবেশন। চলবে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ হবে আজ শুক্রবার। ভোটের মুখে জনমুখি বাজেট এর আশা মানুষের। আশঙ্কা কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলির। বৃহস্পতিবারই রাষ্ট্রপতির ভাষণে আয়কর ছাড়ের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
লোকসভা ভোটের ঠিক আগেই পেশ হচ্ছে মোদী সরকারের অন্তর্বর্তী বাজেট। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রায় পৌনে পাঁচ বছরের জমানায় পেশ হয়েছে পাঁচটি বাজেট। আগামী লোকসভা ভোটের ঠিক আগেই পেশ হচ্ছে এই অন্তর্বর্তী বাজেট। ওই বাজেট যেহেতু নির্বাচন-মুখী, স্বাভাবিক ভাবেই কর ছাড়ের বহর বাড়তে পারে বলেই ধারণা করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
গত সপ্তাহেই একটি সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, মধ্যবিত্ত সম্পর্কে ধারনা পাল্টে দিতে হবে দেশে। এরপরই, মধ্যবিত্তের জন্য একাধিক পরিকল্পনা করে ফেলে কেন্দ্র। যার ঘোষণা হতে পারে মোদী সরকারের শেষ বাজেটে। সূত্রের খবর, মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে বিশেষ সুরাহা দিতে আয়করে অতিরিক্ত ছাড়ের ঘোষণা করতে পারেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
প্রশ্ন একটাই, আয়কর স্তরে কোনও পরিবর্তন আনবে কি বিজেপি সরকার? লোকসভা ভোটের মুখে এই নিয়েই আশায় বুক বাঁধছে আমজনতা। ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের মুখ থেকে বড় কিছু ঘোষণা আশা করছে দেশের মানুষ। লোকসভা ভোটের আগে অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করবেন ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী। পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ হবে ভোটের পর। ফলে ভোটের আগে বাজেটের মতো একটি ইভেন্টকে নিঃসন্দেহে ব্যবহার করতে ছাড়বে না মোদী সরকার, আশা মানুষের। আশঙ্কা বিরোধীদের।
জানা যাচ্ছে, আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা ২.৫ লক্ষ্য টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩.৫ লাখ টাকা করতে পারে মোদী সরকার। ৮০সি ধারায় করমুক্ত সঞ্চয়ের সীমা ১.৫ লক্ষ্য টাকা থেকে বাড়ানো হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। গৃহঋণে কর ছাড়ের পরিমাণও বাড়াতে পারে মোদী সরকার, আশা মানুষের।
সূত্রের খবর, এবারের বাজেটে বেতনভূক মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে আয়করের ঊর্ধ্বসীমায় ছাড় দিতে পারে সরকার। এছাড়া, জমায় ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে পেনশনভোগীদের জন্য করে ছাড় এবং গৃহঋণে সুদের হারে অতিরিক্ত ছাড়ের ঘোষণা হতে পারে বাজেটে। গত ৪ বছরে আয়করের ঊর্ধ্বসীমা ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য, করের স্ল্যাবও কমানো হয়েছে। ফলে একজন নাগরিক সর্বাধিক ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বছরে সাশ্রয় করতে পারছেন।
২০১৪ লোকসভা ভোটের আগে ২০১৪-র ফেব্রুয়ারিতে অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করেছিলেন ইউপিএ সরকারের অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর সে বছর জুলাইয়েই পূর্ণ বছরের বাজেট পেশ করেন অরুণ জেটলি। সূত্রের খবর, ভোটের কথা মাথায় রেখে আজকের অন্তর্বর্তী বাজেটে দেশের আপামর মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য বাজেট ঢেলে সাজিয়েছে মোদী সরকার।
আর বাজেটে মধ্যবিত্তদের জন্য বিশেষ ছাড় দিয়ে আগামী লোকসভা ভোটে জিতে ফের ক্ষমতায় আসার লক্ষ্যে ঝাঁপাতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী। কিছুক্ষণের মধ্যেই বোঝা যাবে ভোটের আগে ঠিক কতটা কল্পতরু হলেন নরেন্দ্র মোদী।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।