The News বাংলা, দার্জিলিংঃ ১১ বছর পর দার্জিলিং কালিম্পঙে তুষারপাত। বেড়াতে যারা গেছেন তাদের বেড়ানোর আনন্দ দ্বিগুন। পর্যটকদের আনন্দ দেখে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারাও। জমাট ঠাণ্ডা ও পরিস্কার আকাশ সঙ্গে তুষারপাতে, প্রকৃতির আসাধারন রূপ মানুষের সামনে।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়বে সল্টলেক নিউটাউনের বাড়িঘর
শুক্রবারের পর শনিবারেও কমল তাপমাত্রা। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই সময়ের স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে প্রায় ৩ ডিগ্রি কম বলেই জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টানা ১১ দিন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে নিচে বলে জানা গিয়েছে। তবে, এদিন দার্জিলিং-এর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা -১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে। এর সঙ্গে দীর্ঘ ১১ বছর পরে তুষারপাত হয়েছে দার্জিলিং-এ।
আরও পড়ুন: হাজার হাজার রুটি নষ্ট করে কৃষক আন্দোলনে ইতিহাস বাংলার বামেদের
বহু বছর পর তুষারপাত হল দার্জিলিং-কালিম্পঙে। দার্জিলিং, ঘুম শহর তো বটেই, এমনকি বরফ পড়ল কালিম্পঙের লাভা, লোলেগাঁও, রিশপেও। প্রায় সাড়ে এগারো বছর প্রকৃত বরফপাত দেখেনি দার্জিলিং শহর। কিন্তু এবার যে দার্জিলিং বরফ দেখতে পারে, এমনটাই জানিয়েছিলেন বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা ওয়েদার আল্টিমারের কর্ণধার রবীন্দ্র গোয়েঙ্কা।
আরও পড়ুন: ভিড়ে ঠাসা কলকাতা মেট্রোতে আগুন ও ধোঁয়া, অসুস্থ বহু
সেই পূর্বাভাসই সত্যি করে বরফ দেখল গোটা পাহাড়। শুক্রবার বিকাল থেকেই তুষারপাত শুরু হয় দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার উঁচু জায়গাগুলিতে। শনিবারেও বরফপাত হয়েছে। শেষবার দার্জিলিং শহরে বরফ পড়েছিল ২০০৭-এর ১৪ ফেব্রুয়ারি। তবে সেই তুষারপাত ছিল প্রবল।
আরও পড়ুনঃ EXCLUSIVE: ৫৫ নম্বরের পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীকে ৫৯ দিয়ে এসএসসি-র নতুন কীর্তি
সেই তুলনায় এদিনের তুষারপাত হালকা হলেও, এগারো বছর পর বরফ দেখে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পর্যটক, সবার আনন্দ যেন বাঁধন ছাড়িয়ে যায়। আনন্দে রাস্তায় নেমে আসেন মানুষজন। বরফের আনন্দ নিতে থাকেন সবাই।
আরও পড়ুন: EXCLUSIVE: ভোটের আগে বাংলার বিখ্যাত সাংবাদমাধ্যমের সঙ্গে ‘সরকারি’ সন্ধি মমতার
শুক্রবার বিকাল থেকে বরফে সাদা হয়েছে সিকিমের বিস্তীর্ণ অঞ্চলও। ছাঙ্গু থেকে রাবাংলা, পশ্চিমে ওখরে থেকে পূর্বের সিল্করুট, বরফ পড়েছে সব জায়াগাতেই। আপাতত এইরকম ঠাণ্ডাই থাকবে। তবে নতুন বছরের শুরুর পর থেকেই আবহাওয়া পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে ভূমিকম্পের বেশ কিছু অজানা কাহিনী
অন্য দিকে গোটা রাজ্যেই ঠান্ডার দাপট আরও বাড়বে বলে জানানো হয়েছে। শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিই মরশুমের শীতলতম দিন ছিল। শনিবার সেই রেকর্ডও ভেঙে গেল। শনিবারই এই মরশুমের শীতলতম দিন। কলকাতার তাপমাত্রা ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বছরের পুরনো দিনগুলিতে তাপমাত্রা আরও কমবে বলেই জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ EXCLUSIVE: কলকাতা থেকে পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের টাকা যাচ্ছে জঙ্গিদের হাতে
কলকাতার পারদ দশের নীচেও নেমে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে তুষারপাত এবং হিমশীতল আবহাওয়ায় জমে গিয়েছে বর্ষশেষের পশ্চিমবঙ্গ। এই শীতের পরিস্থিতি চলবে আগামী জানুয়ারি মাসের ২ তারিখ থেকে। মধ্য ভারতের উচ্চচাপ বলয়ের জন্য মুক্ত উত্তরের হাওয়া আগামী জানুয়ারি মাসের ২ তারিখ থেকে বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
আরও পড়ুন: জেলেই সুমন চট্টোপাধ্যায়, সিবিআই নজরে বাংলার আরও তিন সাংবাদিক
আরও পড়ুন: রবিবার বাংলাদেশ ভোটে ফের শেখ হাসিনা বনাম খালেদা জিয়া
তবে, জানুয়ারি মাসের ২ তারিখ পর্যন্ত কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা নিম্নমুখী থাকবে। কলকাতা তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে বা কাছাকাছি হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। জেলার ক্ষেত্রে পানাগর, পুরুলিয়া, শ্রীনিকেতন, বাঁকুড়ার তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি থেকে ৬ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে।
আরও পড়ুন: গোটা বিশ্বের নিষেধ উপেক্ষা করে নতুন করে সমুদ্রে তিমি শিকার
সিকিম ও দার্জিলিং এর হিমালয় সংলগ্ন এলাকায় আগামী দুদিন আরও তুষারপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। দার্জিলিং এ শনিবার সন্ধ্যা থেকে রবিবার সকালেও তুষারপাতের সম্ভাবনা থাকছে বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। এখন যারা ঘুরতে গেছেন তাদের আনন্দের সীমা নেই।