The News বাংলা, কলকাতা: এবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চাইলেন দেশের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও প্রাক্তন বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহা। প্রধানমন্ত্রী হবার সবরকম যোগ্যতা আছে মমতার, কলকাতায় এসে বললেন বিজেপির এই প্রাক্তন নেতা।
আরও পড়ুন: ‘দেশের একমাত্র যোগ্য প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন মমতা বন্দোপাধ্যায়’
দিল্লিতে বিরোধী জোটের বৈঠক নিয়ে সরগরম গোটা দেশ। সেই জোটের মধ্যমণি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। রবিবার বিকালেই তিনি দিল্লী পৌঁছেছেন। তাঁর আগে আরও একবার মমতাকে প্রধানমন্ত্রী করার জোরাল দাবি তুললেন বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা।
আরও পড়ুন: আরও সাজিয়ে তোলা হবে বাঙালির প্রিয় দিঘা সমুদ্রসৈকতকে
রবিবার কলকাতায় তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেল আয়োজিত ‘আইডিয়া অব বেঙ্গল’ শীর্ষক আলোচনা চক্রে এসে বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার সদস্য বললেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সবরকম গুণ রয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে। দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সবরকম যোগ্যতা মমতার আছে এবং মমতার নেতৃত্বে সরকার কেন্দ্রের দায়িত্ব নিতে পারবে বলেই জানান যশবন্ত সিনহা।
রবিবার, বিজেপি সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তুমুল সমালোচনা করেন বিজেপির এই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরেই মোদী সরকারের সমালোচনা করে আসছেন বিজেপির একসময়ের দাপুটে নেতা। এর আগে একাধিকবার তৃণমূলনেত্রীর প্রশংসাও শোনা গিয়েছে যশবন্ত সিনহার মুখে। কিন্তু মমতার প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে এই প্রথম মুখ খুললেন।
আরও পড়ুন: পাহাড়ে নিজের বাড়ি থেকে বিমলকে ধরল মমতার পুলিশ
শুধু যশবন্ত সিনহাই নন, ভারতের আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে চেয়েছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা রাম জেঠমালানিও। একসময়ের বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহা, শত্রুঘ্ন সিনহা ও অরুণ শৌরিকে লেখা এক চিঠিতে তিনি এ কথা জানিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ভারতে সন্ত্রাস চালানো পাকিস্তানকে ‘গান্ধী’গিরি শেখাচ্ছে বাংলার আমজনতা
এদিকে আগামী ১১ তারিখে, পাঁচ রাজ্যের ফল ঘোষণার আগেই সোমবার দিল্লিতে বিরোধীদের মেগা-শো। চন্দ্রবাবু নাইডুর ডাকা বিরোধী দলগুলির বৈঠকে হাজির হতে চলেছেন বিরোধী শিবিরের তাবড় তাবড় নেতারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বৈঠকের মধ্যমণি। সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীরও থাকার সম্ভাবনা রয়েছে এই বৈঠকে।
মমতার আলাদা করে সোনিয়া ও রাহুলের সঙ্গে বৈঠক করারও সম্ভাবনা আছে। মূলত লোকসভা ভোটের রণকৌশল এবং সংসদের শীতকালীন অধিবেশন নিয়েও আলোচনা হবে। তবে, সবার নজর আপাতত পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের ফলাফলের দিকে। বিরোধীদের রণকৌশলও এই ফলাফলের উপরেই নির্ভর করবে খানিকটা।
আরও পড়ুন: পাঁচ রাজ্যে ভোটের ফল সমীক্ষায় মোদীর চেয়ে এগিয়ে রাহুল
প্রায় সব এক্সিট পোলই বিজেপির হার দেখিয়েছে। সেই ভরসাতেই লোকসভা ভোটের আগেই মহাজোট নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চান বিরোধীরা। তবে তৃণমূল নেতাদের মতই যেভাবে প্রাক্তন বিজেপি নেতারাও মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথা বলছেন, তাতে জোটের প্রধানমন্ত্রী মুখ কিন্তু মমতাই হতে পারেন।