চাকরির নামে ভুয়ো নিয়োগপত্র বিলি, স্বীকার করে নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। ভুয়ো নিয়োগপত্র বিলি বিভ্রান্তি বলে মেনে নিল রাজ্য সরকার। “এর পুনরাবৃত্তি হবে না”, আশ্বাস রাজ্যের মুখ্যসচিবের। The News বাংলায় দেখানো হয়েছিল, খবর করা হয়েছিল যে, চাকরির নিয়োগ দেওয়ার দেবার নামে কিভাবে ট্রেনিং নেবার কাগজ দেওয়া হচ্ছে। সেটাও আবার ফেক বা ভুয়ো। সেটাই এবার স্বীকার করে নিল রাজ্য সরকার।
একদিকে যখন শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে উত্তাল বাংলা। তার মধ্যেই ‘উৎকর্ষ বাংলা’ প্রকল্পে, সরকারি উদ্যোগে দেওয়া বেসরকারি চাকরির নিয়োগপত্র নিয়েও উঠেছিল, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ। চাকরির ভুয়ো চিঠি দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন, চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। এবার সেই নিয়োগ-বিভ্রান্তির কথা স্বীকার করে নিল রাজ্য সরকারও।
আরও পড়ুনঃ প্রতারণা মামলায় আমির খানের সঙ্গে যোগ, তৃণমূলের এক মন্ত্রী এবং এক কাউন্সিলরের
নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে কয়েক-হাজার বেসরকারি চাকরি বিলি করেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে জানা যায়, অনেক চাকরি ফেক। চাকরি তো নয়ই, সেগুলো ছিল ট্রেনিং নেবার কাগজ তাও ফেক। গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী ভুয়ো নিয়োগপত্র পেয়েছেন, বলে অভিযোগ করেন। শুরু হয় জোর বিতর্ক।
এবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সেই অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে বলেন, “একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা হুগলিতে ঘটেছে। ১০৭ জনকে যে জব অফার করা হয়েছিল, সেটা নিয়ে বিভ্রান্তি হয়েছিল। এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা ঠিক করেছি, এবার থেকে ডবল চেকিং করা হবে”।