রাজ্যের ভুলে নষ্ট ৫ বছর, ২৩ জন টেট উত্তীর্ণকে নিয়োগের নির্দেশ বিচারপতি গাঙ্গুলির। বড় ভুল করেছিল রাজ্য সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। অথচ গত ৫ বছর যাবৎ সেই ভুলের খেসারত দিচ্ছেন, বাংলার ২৩ জন চাকরিপ্রার্থী। এবার সেই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করতে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে কড়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, এই ২৩ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে, আগামী ২৩ দিনের মধ্যে। শূন্যপদ না থাকলে, তা তৈরি করে চাকরি দিতে হবে। চাকরিপ্রার্থীরা চাকরি পেলেন কি না, তা আগামী শুনানিতে আদালতকে জানাতে হবে।
ঠিক কি হয়েছিল? ২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টেটের পরীক্ষায়, ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল। সেবছরই পরীক্ষা দিয়েছিলেন, এই ২৩ জন পরীক্ষার্থী। কিন্তু ২০১৬ সালে ফল প্রকাশ হলে দেখা যায়, তাঁরা টেট পাশ করেননি। স্বাভাবিকভাবেই সেই সময় চাকরি পাননি তাঁরা। ওই পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিল, পর্ষদের প্রশ্নে ভুল ছিল, ওই ছনম্বরের জন্য চাকরি পাননি তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ বাংলার ডাক, ৫ই সেপ্টেম্বর নয়, ২৬শে সেপ্টেম্বর পালন করুন জাতীয় শিক্ষক দিবস
অন্য একটি মামলায় দেখা যায়, ভুল প্রশ্ন থাকায় চাকরিপ্রার্থীদের নম্বর বাড়িয়েছে পর্ষদ। তারপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এই ২৩ টেট পরীক্ষার্থী। পর্ষদকে বিচার করতে বলে হাইকোর্ট, নিজেদের ভুল স্বীকার করে নম্বর বাড়িয়ে দেয় পর্ষদ। ফলে টেট পাশ করে যান ওই ২৩ জন। এরপরই শুরু বিপত্তি। মামলাকারীদের অভিযোগ, তাঁরা নম্বর পাবে কিনা তা বিচারাধীন থাকা অবস্থায়, ২০২০ সালে নতুন নিয়োগ করে পর্ষদ। এমনকী, প্রশিক্ষণহীনরাও চাকরি করছেন।
এদিকে আদালতে পর্ষদ জানিয়েছে, আপাতত কোনও শূন্যপদ নেই। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “বোর্ডের ভুলে পাঁচ বছর চাকরি পাননি ওঁরা, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে”। একইসঙ্গে তিনি জানান, এই ধরনের যত মামলা আসবে তিনি সেগুলি বিবেচনা করবেন। ফের একবার কলকাতা হাইকোর্টে মুখ পুড়ল, রাজ্য সরকারের।