“মৃত শিক্ষারত্নের বিরুদ্ধে আর্থিক বেনিয়মের তদন্ত চলছিল”, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বাসু। হেয়ার স্কুলের প্রয়াত প্রাক্তন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে, আর্থিক বেনিয়মের তদন্ত চলছিল, জানিয়ে দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বাসু। পূর্ব বর্ধমানের মেমারির দেবীপুরের রাজবাগান এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক সুনীলকুমার দাসের মৃত্যু নিয়ে, এমনটাই জানালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর পেনশন না পাওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য, একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শিক্ষারত্ন পেলেও নিজের পেনশনটা পেলেন না বাংলার শিক্ষক। তিন-বছর পেনশন না পেয়ে, নিজেকে শেষ করে দিলেন বাংলার শিক্ষারত্ন। হেয়ার স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষকের, ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। বর্ধমানের মেমারী-তে, নিজের বাড়িতে মিলল ঝুলন্ত দেহ। অবসরের পর ৩ বছরেও পেনশন না পেয়ে অবসাদে ভুগছিলেন, অভিযোগ পরিবারের, অভিযোগ শিক্ষকের স্ত্রীর। ২০১৯-এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিক্ষারত্ন সম্মানে, ভূষিত হন শিক্ষক সুনীলকুমার দাস। পেনশনের জন্য অনেকবার বিকাশ ভবনে গিয়েছিলেন, দাবি মৃত শিক্ষকের স্ত্রী-র। কিন্তু বিকাশ ভবনের আধিকারিকদের দয়া হয়নি। পেনশন শুরু করেনি, অবসরপ্রাপ্ত্য শিক্ষক সুনীলকুমার দাসের।
আরও পড়ুনঃ অনুব্রত ও তার আত্মীয়দের ১৭ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট বাজেয়াপ্ত
এই প্রসঙ্গে ব্রাত্য বাসু বলেন, “খোঁজ নিয়ে দেখছি বিষয়টা”। সুনীলকুমার দাসকে ২০১৯ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর, শিক্ষারত্ন সম্মান দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই মাসেই উনি অবসর নেন। ব্রাত্য বাসু জানিয়ে দিলেন, ওই মাসেরই ১১ তারিখ অর্থাৎ শিক্ষারত্ন পাওয়ার ঠিক ছ-দিন পর, ওঁর বিরুদ্ধে আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছিল।