“আমি নমাজ পড়ি না, ইফতারে গেলেও আপত্তি”; দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে বিজেপিকে ঠুকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘মু’সলিম তো’ষণ নিয়ে; এদিন বিজেপির অভিযোগের জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। ‘আমি নমাজ পড়ি না, ইফতারে আপত্তি কীসের?’; নাম না করেই বিজেপির দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন তিনি। এদিন, অডিও-ভিজুয়াল মাধ্যমে প্রাচীন মন্দিরের ইতিহাস বর্ণনা করার জন্য; দক্ষিণেশ্বরে আকর্ষণীয় ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড’ প্রকল্প চালু হয়ে গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতার হাত ধরে।
রামকৃষ্ণদেব-সারদা-বিবেকানন্দের স্মৃতি বিজড়িত দক্ষিণেশ্বরে; শত বছরের প্রাচীন মন্দির সংস্কারে আগেই একাধিক কাজ করেছে রাজ্য সরকার। পুণ্যার্থীদের সুবিধায় দক্ষিণেশ্বর মন্দির চত্বরে ডালা আর্কেড থেকে শুরু করে; মন্দির পর্যন্ত স্কাইওয়াক তৈরি করা; অনেক কাজই করেছে মা মাটি মানুষের সরকার। কিন্তু এতকিছু করলেও, ‘সংখ্যালঘুদের তো’ষণ করেন; আইনভ’ঙ্গ-কারীদের ধ’র্ম দেখে শাস্তি নিরূপণ করেন; তাঁর রাজ্যে হিন্দুদের সুরক্ষা বারবার বিঘ্নিত হয়’। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে; এমনই অভিযোগ বারবার করে বিজেপি। মাঝেমধ্যে তার জবাবও দেয় তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা।
আরও পড়ুন; “টাকা মাটি, মাটি টাকা”, দক্ষিণেশ্বর গিয়ে রামকৃষ্ণের বাণী স্মরণ করে ‘আধ্যাত্মিক’ মমতা
এবার দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের লাইট-অ্যান্ড-সাউন্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে; নাম না করেই বিজেপিকে মোক্ষম জবাব দিলেন মমতা। বিজেপিকে বিঁধে মমতা বললেন, “অনেকে বলে আমি নাকি নমাজ পড়ি; আমি নমাজ পড়ি না। ইফতারে যাই। রোজা অর্থাৎ দিনভর উপবাসের পর তা ভাঙার সময়ে; ওদের সঙ্গে আমি থাকি। এটা সর্বধর্ম সমন্বয়; ধর্মীয় রীতি নয়। যে কোনও ধর্মের মানুষই; এতে অংশ নিতে পারেন”।
আরও পড়ুন; বাংলায় আবির্ভূত নতুন দেবতা, চাপমুক্তির প্রত্যাশায় এবার ‘টেনশন দেব’ এর পুজো
রাজ্যের বিভিন্ন হিন্দু তীর্থক্ষেত্র সংস্কারের কাজে; হাত লাগিয়েছে রাজ্য। তারই মধ্যে একটি দক্ষিণেশ্বর। এখানে স্কাইওয়াক তৈরির পর; এবার চালু হল লাইট-অ্যান্ড-সাউন্ড প্রকল্প। অডিও-ভিজুয়াল মাধ্যমে দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরের ইতিহাস; তুলে ধরা হবে দর্শকদের সামনে। দেশের বিভিন্ন বিখ্যাত তীর্থক্ষেত্রগুলিতে; এই ধরনের লাইট-অ্যান্ড-সাউন্ডে ইতিহাস জানানোর ব্যবস্থা আছে।
হিন্দু-ধ’র্ম নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব বারবারই; রাজ্যের শাসকদলকে আ’ক্রমণ করে। এদিন তাদের পা’ল্টা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন; “হি’ন্দু, মুস’লিম, শিখ, খ্রি’স্টান কেউই অশা’ন্তি করে না। যারা এসব করে, তাদের মাথায় জঞ্জাল ভরতি। হিন্দু-ধ’র্ম অনেক উদার; কিন্তু তার নামে রাজনীতি চলছে”।