নারাজ পাওয়ার, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে মমতার বাজি গোপালকৃষ্ণ। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী জোটের; প্রার্থী হচ্ছেন না শরদ পাওয়ার। রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হওয়ার দৌড় থেকে; নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন এনসিপি সুপ্রিমো। সোমবার মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীদের বৈঠকে পাওয়ার জানিয়েছেন; তিনি বিরোধী জোটের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হচ্ছেন না। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে সামনে রেখে, বুধবার দিল্লিতে বৈঠকে বসছে বিরোধী দলগুলি। তার আগেই পওয়ারের এই ঘোষণা; বিরোধী শিবিরের জন্য কিছুটা হলেও ধাক্কা। তারপরেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে; চেষ্টা চলছে বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীকে রাজি করানোর।
এই প্রস্তাবে না বলেননি গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, বিরোধীদের প্রস্তাব ভাবনা-চিন্তা করে দেখতে; সময় চেয়েছেন গোপালকৃষ্ণ। বুধবারই নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন; বলে জানিয়েছেন তিনি। রাজি হলে, সর্বসম্মতিতে বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হবেন গোপালকৃষ্ণ; কারণ এর আগেই উপরাষ্ট্রপতি পদে; সর্বসম্মতি পেয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ “চলুন বাংলায় বুলডোজার সরকার গড়ি, ডান্ডা মেরে আবর্জনা সরাবে”
শরদ পওয়ার এই মুহূর্তে বিরোধী শিবিরের; সবচেয়ে বর্ষীয়ান নেতা। প্রায় সব প্রথমসারির বিরোধী নেতার সঙ্গেই; সুসম্পর্ক রয়েছে এনসিপি সুপ্রিমোর। তিনি প্রার্থী হলে সব বিরোধী দলকে; একছাতার তলায় আনার কাজটা অনেকটাই সহজ হত। কংগ্রেসের তরফেও পওয়ারকে; প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও; পওয়ার প্রার্থী হলে আপত্তি করতেন না। পওয়ারের নামে আপত্তি ছিল না; তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরেরও। তাতেই পওয়ারের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা; জোরাল হচ্ছিল। কিন্তু এনসিপি প্রধান নিজেই নিজেকে সরিয়ে নিলেন।
পাওয়ার না করে দেবার পর, মমতার উদ্যোগেই; গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর নাম উঠে আসে। ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত; বাংলার রাজ্যপাল ছিলেন ৭৭ বছরের গোপালকৃষ্ণ। দীর্ঘদিন আমলাও ছিলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কার মতো দেশে; ভারতের হাইকমিশনারও নিযুক্ত ছিলেন। এখন তিনি রাজি হন কিনা; সেটাই এখন দেখার।
আগামী ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন; ভোটগণনা ২১ জুলাই। বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের মেয়াদ; শেষ হচ্ছে ২৪ জুলাই। তার আগেই গোটা প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। এখনও পর্যন্ত শাসক দল বিজেপিও; প্রার্থী হিসেবে কারও নাম চূড়ান্ত করতে পারেনি। কোন দুই ব্যক্তির মধ্যে দেশের রাষ্ট্রপতি পদের জন্য লড়াই হয়; সেটা দেখার অপেক্ষাতেই গোটা দেশ।