ধূলাগড়ে শুক্রবার নমাজের পরই; জাতীয় সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ শুরু হয়। এদিন বেলা বাড়তেই উ’ত্তপ্ত হয়ে হয়ে ওঠে; হাওড়ার এক বিস্তীর্ণ এলাকা। ধূলাগড়ে নমাজের পরই; পথ অবরোধ ও বিক্ষোভ শুরু করেন মুসলিমরা। অবরোধ তুলতে পুলিশ পৌঁছলে, তাদের লক্ষ্য করে; ইট পাথর বো’মা ছোড়া হয় বলেই অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পাল্টা কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোড়ে পুলিশ। তবে ভিড় নিয়ন্ত্রন করতে পারেনি পুলিশ। গতকালের পর ফের হাজার হাজার গাড়ি; দাঁড়িয়ে যায় জাতীয় সড়কে।
বিকেলে উলুবেড়িয়ায় জাতীয় সড়কের ওপর; একের পর এক গাড়ি ভাঙচুর করে মুস’লিম সম্প্রদায়ের মানুষরা। এরপর জাতীয় সড়কের ওপরে বেশ কয়েকটি গাড়িতে; আ’গুন ধরিয়ে দেয় তারা। আ’গুন ধরানো হয় পুলিশের কিয়শক ও গাড়ি, মোটর সাইকেলে। যার জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে; ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় রাফ। তবে তারপরেও পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি।
আরও পড়ুনঃ মমতার আবেদনেও কাজ হল না, হাওড়ায় ‘মুস’লিম অধ্যু’ষিত’ এলাকায় ফের তা’ণ্ডব
একই সময় হাওড়ার পাঁচলায়, বিজেপির একটি পার্টি অফিস ভাঙচুর করে; আগুন ধরিয়ে দেয় কিছু সংখ্যা’লঘু তা’ণ্ডবকারী। পার্টি অফিসের ভিতরের যাবতীয় নথি ও আসবাবপত্র পুড়ে গিয়েছে। এরপর পাশেই এক বিজেপি কর্মীর; রেস্তোরাঁয় হা’মলা চালায় তারা। বেশ কয়েকটি গাড়িতে; আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। রেস্তোরাঁর যাবতীয় আসবাব বাইরে বার করে; আ’গুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে সেখানেও পৌঁছয় পুলিশ। ততক্ষণে এলাকা ছাড়ে হা’মলাকা’রীরা।
আরও পড়ুনঃ বাংলার সামান্য পুলিশ কনস্টেবলের ফ্লাটে কেজি কেজি সোনা, চক্ষু চড়কগাছ গোয়েন্দাদের
একটানা অবরোধের জেরে এখনও অবরুদ্ধ; ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। প্রচণ্ড গরমে দীর্ঘক্ষণ গাড়িতে থেকে; অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। ভেলোর থেকে ফেরা রোগীর; মারা যাবার খবর এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনেও কোন কাজই হল না; হাওড়ায় মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় গতকালের মত আজ শুক্রবারও ফের তা’ণ্ডব চলছে। ধুলাগড়, পাঁচলা, উলুবেড়িয়া, ডোমজুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছেন; সংখ্যা’লঘু সম্প্র’দায়ের লোকজন।
নবান্ন থেকে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুরোধ করলেও; তাতে আজও কান দিলেন না সংখ্যা’লঘু সম্প্র’দায়ের লোকজন। তার প্রমাণ আজকের হাওড়া; ধুলাগড়, পাঁচলা, উলুবেড়িয়া, ডোমজুড়; জ্বলছে-পুড়ছে, রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে বাংলার ভোট দেওয়া আমজনতা।