ডায়মন্ডহারবারের বিষ্ণুপুর থানা এলাকা থেকে মানুষকে পালাতে হল কেন

2180
ডায়মন্ডহারবারের বিষ্ণুপুর থানা এলাকা থেকে মানুষকে পালাতে হল কেন/The News বাংলা
ডায়মন্ডহারবারের বিষ্ণুপুর থানা এলাকা থেকে মানুষকে পালাতে হল কেন/The News বাংলা

ডায়মন্ডহারবার লোকসভার বিষ্ণুপুর থানা এলাকার নহাজারি, বোয়াখালি এলাকা থেকে হিন্দুদের পালাতে হল কেন? উত্তর নেই প্রশাসনের। The News বাংলা-কে পুলিশ সুপার শ্রীহরি পাণ্ডে জানাচ্ছেন; দুদিন আগেই সব মিটে গেছে। বিষ্ণুপুর থানার আইসি আশক মিশ্রও বললেন; ২ দিন আগেই মিটে গেছে সব। কিন্তু কি ঘটেছিল বিষ্ণুপুরে? দুদিন আগেই ৩-৪ দিন ধরে কি হল?

বসিরহাট, বাদুরিয়ার ছায়া এবার ডায়মন্ডহারবার লোকাসভার সাতগেছিয়া বিধানসভা এলাকার; বিষ্ণুপুর থানা এলাকার দুটি গ্রামে। দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিষ্ণুপুরে; কয়েকদিন আগেই গোষ্ঠী সংঘর্ষ লেগে যায়। গত দু তিনদিন ধরেই চলে এই সংঘর্ষ।

ভাঙচুর চালান হয় বাড়িতে, দোকানে। আগুনে পুড়েছে গাড়ি, বাড়ি, রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। আহত হন অনেকেই। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে; উত্তপ্ত হয় দুটি গ্রাম। মারাত্মক অভিযোগ; এলাকার মসজিদ থেকেই মাইকে হিন্দুদের বিরুদ্ধে প্রচার করা হয়। অভিযোগ করেছেন নারী পুরুষ সবাই। ভয়ে এলাকা ছাড়েন হিন্দুদের অনেকেই।

জানা গেছে, জয় শ্রীরাম ধ্বনি তোলা নিয়ে; এই ঝামেলার শুরু হয়। অনেকে বলছেন, বিদ্যুত চলে যাওয়া নিয়েই নাকি অশান্তির সুত্রপাত। কিন্তু পরে এটা দুই ধর্মের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে পরিণত হয়। বাড়ি, দোকান ভাঙচুর ও লুট করার অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত সংখ্যালঘু দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। আতঙ্ক ছড়ায় হিন্দুদের মধ্যে। মহিলারা গ্রাম ছাড়েন।

পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুরের পাশাপাশি; এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা থাকায়; বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়।

পুড়িয়ে দেওয়া হয় সংখ্যাগুরু মানুষদের ঘর বাড়ি। ভাঙচুর চালান হয় দোকানে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় এম্বুলেন্স, গাড়ি। এর আগেও বসিরহাট বাদুরিয়ায় দুই ধর্মের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখেছে বাংলার মানুষ।

ঘটনার কথা উড়িয়ে দিয়েছে; রাজ্য প্রশাসন। বিজেপি শেষ দফার ভোটের আগে বাংলায় অশান্তি ছড়াচ্ছে; অভিযোগ তৃণমূলের। অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ; তৃণমূল সংখ্যালঘু দুষ্কৃতীদের নিয়ে সংখ্যাগুরুদের উপর অত্যচার করছে।

The News বাংলার হাতে প্রমাণ, ভিডিও, ছবি, সাধারণ মানুষের বক্তব্য সব আছে। তবে ৩ দিন অপেক্ষা করে সব ঘটনা থেমে যাওয়ার পরেই; আসল সত্য প্রকাশ্যে আনাটা জরুরী মনে হল। বাংলার বুকেও কিন্তু ধর্মীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ধীরে ধীরে হলেও থাবা বসাচ্ছে; যেটা যথেষ্ট চিন্তার কারণ।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন