স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে ১৩৩টি সোনার মোহর; নগদ ২ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ঠিকানায় ইডি’র হানায়; পাওয়া গেল আরও অনেক কিছুই। এক সপ্তাহ আগেই হাওয়ালা মামলায়; দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এবার সত্যেন্দ্র জৈন এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের ঠিকানায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে; ১৩৩টি সোনার মোহর উদ্ধার করল ইডি; যার ওজন ১.৮ কেজি। একই সঙ্গে হিসাব বহির্ভূত ২ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ৩০ মে বেআইনি ভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগে; আম আদমি পার্টি (আপ)-র নেতা ও দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন-কে গ্রেফতার করেছিল ইডি। ৯ই জুন পর্যন্ত তাঁকে ইডি-র হেফাজতে; রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ইডি-র তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার থেকে দিল্লি এবং আশপাশের এলাকার; কিছু বাড়ি, দফতর এবং সোনার দোকানে হানা দিয়ে হিসাব বহির্ভূত নগদ এবং স্বর্ণমুদ্রা উদ্ধার করা হয়।
ইডি জানিয়েছে, যে ঠিকানাগুলিতে অভিযান করা হয়েছে; তার মধ্যে রয়েছে সত্যেন্দ্রর স্ত্রী পুনম জৈন, তাঁর ব্যবসায়িক সহযোগী অঙ্কুশ জৈন, বৈভব জৈন, নবীন জৈন এবং সিদ্ধার্থ জৈন (রাম প্রকাশ জুয়েলার্স প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক), জিএস মাথারু (প্রুডেন্স গ্রুপের পরিচালনা সংস্থা লালা শের সিংহ জীবন বিজ্ঞান ট্রাস্টের চেয়ারম্যান) স্কুলের), যোগেশ কুমার জৈন (রাম প্রকাশ জুয়েলার্স প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক)।
আরও পড়ুনঃ উত্তরপ্রদেশে যোগীর বিজেপির ভয়ে, ভোটের লড়াই থেকেই পালাল কংগ্রেস
ইডি’র বিবৃতিতে বলা হয়েছে; তল্লাশির সময় বিভিন্ন অপরাধমূলক নথি ও ডিজিটাল রেকর্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইন, ২০০২ এর আওতায় ইডি তদন্ত শুরু করেছে। সত্যেন্দ্র কুমার জৈন, পুনম জৈন, অঙ্কুশ জৈনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৮৮-এর ১৩(২) আর/ডব্লিউ ১৩(১)(ই) ধারার অধীনে ২৪ আগস্ট, ২০১৭-এ সিবিআই/এসি-১, নয়াদিল্লিতে প্রসাদ জৈন, সুনীল কুমার জৈন, বৈভব জৈন এবং অঙ্কুশ জৈনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
লালা শের সিংহ জীবন বিজ্ঞান ট্রাস্টের মাধ্যমে; সত্যেন্দ্র এবং তাঁর সহযোগীদের নামে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে জমি হস্তান্তর হয়েছিল বলেও দাবি ইডি-র। এদিকে আপ প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল, মঙ্গলবার ফের অভিযোগ করেছেন; “দিল্লি এবং পঞ্জাবে তাঁর দলের সরকারের মন্ত্রীদের; মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার”।