নিউ দিল্লী: ভারত ৩ : ১ পাকিস্তান। সামনের মহাকাশ লড়াইয়েও পাকিস্তানকে টেক্কা দিতে চলেছে ভারত। চীনের সাহায্যে ২০২২ সালে প্রথমবারের জন্য মহাকাশে মানুষ পাঠাতে চলেছে ভারতের প্রতিবেশি ‘চিরশত্রু’ পাকিস্তান। তবে ঐবছরই আরও ৩ জনকে মহাকাশে পাঠাচ্ছে ভারত।
চীনের সাহায্য নিয়ে ২০২২-এ প্রথম মহাকাশে মানুষ পাঠাবে পাকিস্তান। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ইমরান খানের প্রথম বেজিং সফরের আগেই এই ঘোষণা করলেন পাক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরি। পাক তথ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০২২-এ পাকিস্তানের প্রথম মহাকাশ অভিযানের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ফেডেরাল ক্যাবিনেটের বৈঠকে তা অনুমোদিতও হয়েছে। মন্ত্রী বলেছেন, পাকিস্তান স্পেস অ্যান্ড আপার অ্যাটমসফিয়ার রিসার্চ কমিশন ও একটি চীনা কোম্পানির মধ্যে এ ব্যাপারে মৌ বা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এই বছরেই চিনা উৎক্ষেপণ যানের মাধ্যমে দুটি দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের নিজস্ব কোন পরিকাঠামো নেই। তাই বন্ধু দেশ চীনই এ ব্যাপারে বড় ভরসা পাকের।
আগামী, ৩ নভেম্বর চীন সফরে যাচ্ছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী লি খেকিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। বন্ধু চীনের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক জোরদার করতেই যাচ্ছেন ইমরান। দুদেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বোঝাপড়া এমনিতেই চাঙ্গা। চিনা সামরিক যন্ত্রাংশের বড় ক্রেতাদের অন্যতম পাকিস্তান।
ভারতের চিন্তা বাড়িয়ে, ক্রমশই ঘনিষ্ঠ হচ্ছে পাকিস্তান ও চীন। আর তারই জের ধরে এবার ইসলামাবাদকে সামরিক দিক থেকে আরও শক্তিশালী করার দিকে নজর দিয়েছে বেইজিং। আগেই জানা গেছে, পাকিস্তানের জন্য চীনে আটটি সাবমেরিন তৈরি হচ্ছে। এই সাবমেরিনগুলো পাকিস্তানের হাতে চলে গেলে বেশ চাপে পড়বে ভারত।
সূত্রের খবর, প্রজেক্ট হাঙ্গুরের আওতায় সাবমেরিন তৈরি করছে চীন। খুব শীঘ্রই সেগুলো পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়া হবে। খবরে প্রকাশ, ভারতের হাতে এখন পর্যন্ত ১৬টি সাবমেরিন রয়েছে। আর পাকিস্তানের সাবমেরিন সংখ্যা ১০। নতুন এই সাবমেরিনগুলো পাকিস্তানের হাতে পৌঁছে গেলে তাদের সাবমেরিনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া চীনের তৈরি নতুন এই সাবমেরিনগুলো সম্পূর্ণ আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি হচ্ছে বলে জানা গেছে, যা বেশ চিন্তা বাড়িয়েছে ভারতের।
সামরিক শক্তি বারাবার পাশাপাশি চীনা মহাকাশ যানও ভারতের উপর নজর রাখছে বলে জানা গেছে। এখন বন্ধু চীনের হাত ধরে মহাকাশ অভিযানেও নামছে পাক। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, চীনের সাহায্যে সামরিক ভাবে ভারতকে চাপে রাখতে চায় পাক। আর মহাকাশ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ভারতকে চাপে রাখতে চায় চীন।
তবে বন্ধু চীনের দাক্ষিণ্যে মহাকাশ অভিযানে গেলেও, সেই ভারতের কাছেই আবার হারতে চলেছে চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান। তবে চীন-পাকের ‘অশুভ’ বোঝাপড়া কড়া নজরেই রেখেছে ভারতের প্রতিরক্ষা দফতর।