অ্যান্টি স্যাটেলাইট টেস্ট নিয়ে নাসার অভিযোগ উড়িয়ে দিল ভারত

461
অ্যান্টি স্যাটেলাইট টেস্ট নিয়ে নাসার অভিযোগ উড়িয়ে দিল ভারত/The News বাংলা
অ্যান্টি স্যাটেলাইট টেস্ট নিয়ে নাসার অভিযোগ উড়িয়ে দিল ভারত/The News বাংলা

ভারতের সাম্প্রতিক অ্যান্টি-স্যাটেলাইট টেস্ট বা স্যাটেলাইট ধ্বংস পরীক্ষা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনকেও বিপদের মুখে ফেলতে পারে, নাসা প্রকাশ্যে এই অভিযোগ করার পর ভারত তা জোরালভাবে অস্বীকার করেছে। নাসার অভিযোগ ঠিক নয়, এতে কোন বিপদের সম্ভাবনা নেই বলেই জানান হয়েছে ভারতের তরফ থেকে।

আরও পড়ুনঃ দিল্লিতে গান্ধী ও বাংলায় বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারতন্ত্রকে ব্রিগেডে খোঁচা মোদীর

গত ২৭ মার্চে মহাকাশে একটি অব্যবহৃত স্যাটেলাইট বা উপগ্রহকে ধ্বংস করে দেওয়া হয় এই অ্যান্টি স্যাটেলাইট অস্ত্র দিয়ে। মাত্র তিন মিনিটে এই গোটা অপারেশন শেষ হয়। এই পরীক্ষার পর আমেরিকা, রাশিয়া ও চিনের সঙ্গে মহাকাশে নিজের স্থান করে নিয়েছিল ভারত। যেটা ভারতের ভবিষ্যতের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এরপরেই মহাকাশে ৪০০ টি টুকরো ঘোরা ফেরা করছে বলেই জানায় নাসা। এগুলি যে কোন মুহূর্তে বিপদ ডেকে আনতে পারে বলেই জানান হয়।

আরও পড়ুনঃ বাংলায় উন্নতিতে বাধা ‘স্পীডব্রেকার’ মমতা, কটাক্ষ মোদীর

ভারতের সাম্প্রতিক অ্যান্টি-স্যাটেলাইট টেস্ট এর ফলে মহাকাশে বিশ্বের চতুর্থ শক্তি হিসাবে উঠে আসে ভারত। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার এক যুগান্তকারি ঘটনার জন্য এই দিনটাকে স্মরণ করে রাখা হবে, বলেই জানান প্রধানমন্ত্রী। এতদিন অ্যান্টি স্যাটেলাইট অস্ত্র ক্ষমতা ছিল বিশ্বের মাত্র তিনটি দেশের। আমেরিকা, রাশিয়া ও চিনের। এবার ভারত হল বিশ্বের চতুর্থ দেশ। মহাকাশে অ্যান্টি স্যাটেলাইট অস্ত্র থাকা মানে শত্রুর যে কোন নজরদারি স্যাটেলাইট বা উপগ্রহকেও ধ্বংস করতে পারবে ভারত।

আরও পড়ুনঃ বারবার স্বামী বদল করেন স্মৃতি ইরানী, কুরুচিপূর্ণ আক্রমণ কংগ্রেস জোটসঙ্গীর

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা-র প্রধান এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, “গত সপ্তাহে ভারতের ওই পরীক্ষার জেরে মহাকাশে চারশোরও বেশি ‘স্পেস ডেব্রি’, অর্থাৎ ধ্বংস হওয়া স্যাটেলাইটের বিপজ্জনক টুকরো তৈরি হয়েছে। যে যে কোন মুহূর্তে বিপদের মুখে ফেলতে পারে অন্যান্য উপগ্রহকে, জানিয়ে দেয় নাসা।

আরও পড়ুনঃ বছরে ৩৪ লাখ সরকারি চাকরি, কৃষক বাজেটের প্রতিশ্রুতি কংগ্রেস ম্যানিফেস্টোতে

ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা কিন্তু দাবি করছেন, লো অরবিটে তৈরি হওয়া ওই সব ডেব্রি খুব দ্রুতই পৃথিবীতে নেমে আসবে বা বিলীন হয়ে যাবে। ফলে তা থেকে বড় কোনও বিপদের আশঙ্কাই নেই।

আরও পড়ুনঃ গাধা না ঘোড়া, দিনভর বিতর্কের পর জানা গেল খচ্চরের পিঠে ভোটপ্রার্থী

গত বুধবার ভারত যখন সফলভাবে মহাকাশে স্যাটেলাইট ধ্বংস করার কথা ঘোষণা করেছিল, তখন তাদের এটাও জানা ছিল যে এই পরীক্ষার ফলে যে সব স্পেস ডেব্রি তৈরি হবে তার জন্য আন্তর্জাতিক স্তরে সমালোচনারও সম্মুখীন হতে হবে।

আরও পড়ুনঃ নির্বাচনী ইস্তাহারে রাহুলের ছোট ছবি ব্যবহার করায় চটে লাল সনিয়া

কিন্তু মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা-র প্রধান জিম ব্রাইডেনস্টাইন যেরকম কঠোর ভঙ্গীতে এর বিপদের দিকটি তুলে ধরেছেন অতটা ভারতও কিন্তু আশা করেনি। নাসার প্রধান জানিয়েছেন, “ভারতের চালানো ওই একটা টেস্ট থেকে তৈরি হওয়া চারশোরও বেশি ডেব্রি আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি”।

মমতার সাথে নয়, রাজ্যস্তরের অন্যান্য নেতাদের সাথে প্রধানমন্ত্রীকে লড়ার চ্যালেঞ্জ দিলেন জ্যোতিপ্রিয়

“যার অন্তত ষাটটা ডেব্রি আমরা ট্র্যাক করতে পারছি, আর তার মধ্যে থেকে অন্তত চব্বিশটা তো আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের কক্ষপথেরও ওপরে চলে গেছে”। এমনটাই জানান হয় নাসার তরফ থেকে।

আরও পড়ুনঃ পাকিস্থানে বিমানবাহিনীর হামলা, বাংলায় কাঁদল দিদি

এটা একটা ‘টেরিবল, টেরিবল থিং’-মানে সাঙ্ঘাতিক বিপজ্জনক ঘটনা। স্পেস স্টেশনে মহাকাশচারীরা এই মুহূর্তে সম্পূর্ণ নিরাপদ আছেন ঠিকই-তবে দশ দিনের ভেতর আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে কোনও ডেব্রি আঘাত করতে পারে, সেই ঝুঁকি এখন অন্তত ৪৪ শতাংশ বেড়ে গেছে। পরিস্কার জানিয়ে দেয় নাসা।

আরও পড়ুনঃ চৌকিদারের ডান্ডা দেখে ভয় পেয়েছে কংগ্রেস, মন্তব্য বিবেকের

এরপরেই মুখ খোলে ভারত। ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও-র প্রধান ড: জি সতীশ রেড্ডি বলেছেন নাসার এই মূল্যায়নের সঙ্গে তারা মোটেও একমত নন। নাসার এই ধারণা একদম ভুল।

আরও পড়ুনঃ মমতার দাবি না মেনে জঙ্গলমহল থেকে ৩০ কোম্পানি বাহিনী তুলছে নির্বাচন কমিশন

ড: রেড্ডি বলছেন, “অ্যান্টি-স্যাটেলাইট টেস্টের জন্য আমরা কিন্তু ইচ্ছে করেই লো অরবিট বা কম উচ্চতার নিশানা বেছে নিয়েছিলাম। কারণ একটি দায়িত্ববান রাষ্ট্র হিসেবে মহাকাশের বিভিন্ন অ্যাসেট যাতে অক্ষত থাকে, নিরাপদ থাকে সেটা দেখাও আমাদের দায়িত্ব ছিল।” “আর তা ছাড়া যেটুকু ডেব্রি তৈরি হয়েছে সেটাও খুব দ্রুত মিলিয়ে যাচ্ছে, আমরাও ঠিক সেটাই চেয়েছিলাম”।

আরও পড়ুনঃ শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য রাজ্য সরকারের সাহায্য চাইলেন কমিশনের পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে

এই নিয়ে বিতর্ক যে ৭ দিন পরেও থামছে না সেটাই দেখা যাচ্ছে। আর নাসার এই বক্তব্যকে ফের হাতিয়ার করেছে দেশের বিরোধী দলগুলি। মোদীর ভোট চমক বলেই তারা এই পরীক্ষাকে ফের অভিহিত করেছে। বিরোধীদের ভোট প্রচারের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে এই অ্যান্টি স্যাটেলাইট টেস্ট ও তা নিয়ে নাসার অভিযোগ।

আরও পড়ুনঃ বিবেক দুবেকে তৃণমূলের এজেন্ট বলে কটাক্ষ মুকুল রায়ের

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন