ঘটা করে শিল্প সম্মেলনই সার, শিল্পে দেশের মধ্যে ‘পিছিয়ে বাংলা’

1770
ঘটা করে শিল্প সম্মেলনই সার, শিল্পে দেশের মধ্যে 'পিছিয়ে বাংলা'
ঘটা করে শিল্প সম্মেলনই সার, শিল্পে দেশের মধ্যে 'পিছিয়ে বাংলা'

ঘটা করে শিল্প সম্মেলনই সার; শিল্পে দেশের মধ্যে ‘পিছিয়ে বাংলা’। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ও প্রকল্প রূপায়ণ মন্ত্রকের; ‘বার্ষিক শিল্প সমীক্ষা’-র প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এসেছে এরকমই তথ্য। ২০১৯-২০ বছরের হিসাব অনুযায়ী; পশ্চিমবঙ্গে মোট কারখানার সংখ্যা ৯৬৫০টি, তামিলনাড়ুতে ৩৮ হাজার; গুজরাটে ২৮ হাজারেরও বেশি। কেন এমন বেহাল দশা ‘শিল্পায়নে’র পশ্চিমবঙ্গের? ঘটা করে শিল্প সম্মেলনই হচ্ছে; অথচ শিল্প আসছে না। পশ্চিমবঙ্গ আছে সেই তিমিরেই। এমনই দাবি কেন্দ্রীয় সরকারের শিল্প সমীক্ষায়।

কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের বেশ কিছু রাজ্যের তুলনায়; পশ্চিমবঙ্গ অনেকটাই পিছিয়ে। রাজ্যে অনেক কম কল-কারখানা, শিল্প, কাজের সুযোগ। পশ্চিমবঙ্গে মোট মোট কটি কারখানা রয়েছে? ২০১৯-২০ বছরের হিসাব অনুযায়ী; পশ্চিমবঙ্গে মোট কারখানার সংখ্যা ৯৬৫০টি। কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যের কারখানাগুলিতে; কাজ করেন প্রায় ৫ লক্ষ ৮০ হাজার কর্মী।

আরও পড়ুনঃ কাশ্মীরে সন্ত্রা’সবা’দীদের আর্থিক সাহায্য, ‘দেশদ্রো’হী’ ইয়াসিন মালিকের যাবজ্জীবন

অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে কি কি পার্থক্য রয়েছে বাংলার। তামিলনাড়ুতে ৩৮০০০-এরও বেশি কারখানা আছে; যেখানে কাজ করেন প্রায় ২২ লক্ষ কর্মী। গুজরাতে রয়েছে ২৮০০০-এরও বেশি কারখানা; কাজ করেন ১৪-১৫ লক্ষ মানুষ। মহারাষ্ট্র ২৫০০০-এরও বেশি কারখানা; কাজ করেন ১৪-১৫ লক্ষ কর্মী। বাংলায় শিল্প; সেভাবে বাড়ছেই না।

এছাড়াও আছে শিল্পাঞ্চলে তোলাবাজি, সিন্ডিকেট সমস্যা। রাজ্য সরকার বারবার চেষ্টা করলেও; বাংলার জেলায় জেলায় এখনও শাসকদলের নেতা-কর্মীদের, টাকা না পেলেই; শিল্পে বাধা দেওয়ার রোগ যায়নি।

আরও পড়ুনঃ ‘মহিলাদের আবেদন করার প্রয়োজন নেই’, সুধার চিঠিতে পিছু হঠেছিলেন টাটা

তৃণমূল সরকার প্রায়শই শিল্পায়নের গতির প্রসঙ্গ তোলে, দাবি করা হয়; রাজ্যে দ্রুততম হারে শিল্পায়ন হচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রের পরিসংখ্যান সম্পূর্ণ অন্য তথ্য বলছে। ২০১৮-১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গে মোট কারখানার সংখ্যা ছিল ৯৪২০টি। অর্থাৎ শেষ ১ বছরে মাত্র ২৩০টি নতুন কারখানা স্থাপন হয়েছে; সেখান মাত্র ২৮ হাজার নতুন চাকরি হয়েছে। এই একই সময়-পর্বে তামিলনাড়ু, গুজরাত, কর্নাটকে; ৭০০-১৫০০ নতুন কারখানা গড়ে উঠেছে।

রাজ্যের এমন বেহাল দশা কেন? বিরোধীদের অভিযোগ, জমি অধিগ্রহণের তিক্ত ইতিহাস, আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা, পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে; শাসক দলের নেতা-কর্মীদের দাপট। সেই ভয়েই অন্য রাজ্য বা বিদেশ থেকে; পশ্চিমবঙ্গে এসে কারখানা করার কথা কেউ ভাবতে পারছে না।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন