নিউ দিল্লী: সিবিআই ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে কিছুটা হলেও ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার জানিয়ে দিল, আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে সব তদন্ত শেষ করুক সিভিসি। তবে আলোক বার্মা ও নাগেশ্বর রাও কোন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না বলেই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মোদী সরকার ছুটিতে পাঠিয়েছিল সিবিআই ডিরেক্টর আলোক বার্মাকে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে রোজকার কাজ করতে বলেছে। এখানেই মোদী সরকার জোর ঝাটকা খেল বলে মনে করছে বিরোধীরা। দীপাবলির পর এই মামলার আবার শুনানি হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগোই এর ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার এই রায় দেয়।
আলোক বার্মা বনাম রাকেশ আস্থানা ইস্যুতে দুজনকেই ছুটিতে পাঠিয়ে নাগেশ্বর রাওকে অন্তর্বর্তী সিবিআই ডিরেক্টর বানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে জানা যায়। কারণ আগেই দুজনকে নিয়ে বসেও ঝামেলা মেটাতে পারেন নি স্বয়ং মোদী। তারপরেই দুজনকেই ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
ছুটিতে পাঠানো সিবিআই ডাইরেক্টর আলোক বার্মা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। কোর্ট আজ পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, আলোক বার্মা বা নাগেশ্বর রাও কেউই কোন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। ২৩ সে অক্টোবরের পর নাগেশ্বর রাওয়ের নেওয়া কোন সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে না। আলোক বার্মা দৈনন্দিন কাজ করতে পারবেন তবে তিনিও কোন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।
২ সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত তদন্ত শেষ করে সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট পেশ করতে হবে। দীপাবলির পর ১২ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছে শীর্ষ আদালত। এই তদন্তও হবে সুপ্রিম কোর্ট নিয়োজিত এক প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির তত্ত্বাবধানে। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এ.কে পট্টনায়েক এই তদন্ত তত্ত্বাবধান করবেন। সি ভি সি বা চীফ ভিজিল্যান্স কমিশন ২ সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবে শীর্ষ আদালতে।
আর এখানেই আলোক বার্মা শিবির ও বিরোধী দলগুলো মোদীর কেন্দ্রীয় সরকারের হার হল বলেই মনে করছে। কারণ শীর্ষ আদালত কেন্দ্রের ছুটিতে পাঠানো সিবিআই ডাইরেক্টর আলোক বার্মাকে দৈনন্দিন কাজ করতে অনুমতি দিয়েছেন।
অন্যদিকে, মোদী নিয়োজিত নতুন ডিরেক্টর নাগেশ্বর রাও ও শীর্ষ আদালতের নির্দেশে কোন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। ফলে রাতারাতি তাঁর নেওয়া সব বদলির সিদ্ধান্তও বাতিল হয়ে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে। শীর্ষ আদালতের এই দুই নির্দেশই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে গেছে বলে মনে করছে বিরোধীরা। তবে, সরকারের তরফে এখনও এই নির্দেশ নিয়ে কোন মন্তব্য করা হয় নি। পুরো রায় পড়ে সরকারি মুখপাত্র মুখ খুলবেন বলে জানিয়েছেন।