কাশীপুর, খেজুরির পর এবার ময়না; ফের এক বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যু। আবার এক বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যু ঘটল; পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না থানা এলাকায়। এবার ময়নাগুড়ির পিড়খালি সেতুর কাছ থেকে উদ্ধার হল; বিজেপি কর্মী কৃষ্ণ পাত্রর রক্তাক্ত দেহ। দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে; মৃত্যুর কারণ জানার চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা। বিজেপির দাবি, খু’ন করা হয়েছে; তাদের ওই যুবকর্মীকে।
ঠিক কী ঘটেছে ময়নায়? স্থানীয় সূত্রে খবর; মৃত বিজেপি যুবকর্মীর নাম কৃষ্ণ পাত্র। পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না থানার বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা কৃষ্ণ; বিজেপি কর্মী হিসেবে এলাকায় কাজ করতেন। পুরসভা নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছিলেন। মঙ্গলবার থেকে বেপাত্তা ছিলেন বিজেপি কর্মী কৃষ্ণ; আর বুধবার সকালে পিড়খালি সেতুর কাছ থেকে উদ্ধার হয় কৃষ্ণর র’ক্তাক্ত দেহ।
পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে; বিজেপি করার জন্যই কৃষ্ণ পাত্রকে খু’ন করা হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কী করে তার দেহ ওখানে গেল; কারা মে’রেছে ওই বিজেপি কর্মীকে; কোথায় গিয়েছিলেন এই যুবক? এইসব প্রশ্ন খতিয়ে দেখছে পূর্ব মেদিনীপুর পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ রবীন্দ্রনাথকে নোবেল দিয়ে অপমান করা হয়েছে, ঘোষণা তৃণমূল নেতার
এর আগেও কাশীপুর ও খেজুরিতে; দুই বিজেপি কর্মীর র’হস্যমৃত্যু নিয়ে চলছে বিতর্ক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাংলা সফরের দিনই; বিজেপি যুবমোর্চার নেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার ঝু’লন্ত দেহ উদ্ধার হয় কাশীপুর রেল-কোয়ার্টারের ঘর থেকে। ঝু’লন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধে; কোনও সুইসাইড নোটও মেলেনি। তাঁকে পরিকল্পনা করে খু’ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে; বিজেপির তরফ থেকে। দেহ উদ্ধারে গিয়ে বাধার মুখে পড়ে পুলিশ। তবে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে, কেন্দ্রীয় সরকারের কম্যান্ড হাসপাতালে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে; খু’নের অভিযোগ প্রমাণ হয়নি।
কাশীপুরের মতই একই ঘটনা ঘটে খেজুরিতে। বাড়ি ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে উদ্ধার হয়; বিজেপি কর্মী দেবাশিস মান্নার (২২) দেহ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরি বিধানসভার বাঁশগোড়া বাজার সংলগ্ন এলাকায়; এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। খু’ন নাকি আ’ত্মঘাতী? উঠছে প্রশ্ন। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য; কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। “দেবাশিস মান্নাকে খু’ন করা হয়েছে”; অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন; তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি।