গ্রুপ ডি থেকে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার, ‘জাল নথি’তে নাটকীয় পদোন্নতি শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ নেতার স্ত্রীর

300
গ্রুপ ডি থেকে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার, ‘জাল নথি’তে নাটকীয় পদোন্নতি শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ নেতার স্ত্রীর
গ্রুপ ডি থেকে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার, ‘জাল নথি’তে নাটকীয় পদোন্নতি শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ নেতার স্ত্রীর

গ্রুপ-ডি থেকে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার; ‘জাল নথি’তে নাটকীয় পদোন্নতি শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ এক বিজেপি নেতার স্ত্রীর। আর এই অভিযোগে শোরগোল; পূর্ব মেদিনীপুর জুড়ে। মারাত্মক এই অভিযোগ সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে; ওই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ প্রমাণিত হলে; আইন অনুযায়ী পদক্ষেপের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ব্যাঙ্কের তরফ থেকে। তবে পুরো ঘটনাটা ঘটেছে যখন, তখন শুভেন্দু অধিকারী ও মেঘনাথ পাল; দুজনেই তৃণমূলে ছিলেন।

একুশের বিধানসভা ভোটে, নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন; প্রাক্তন তৃণমূল নেতা ও বর্তমানে বিজেপি নেতা মেঘনাথ পাল। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেই তিনি তৃণমূল ছেড়ে; পদ্ম শিবিরে যোগ দেন। তাঁরই স্ত্রী মহুয়া জানা (পাল); ভুয়ো গ্র্যাজুয়েশন সার্টিফিকেট দেখিয়ে তমলুক কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার অ্যাণ্ড রুরাল ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্কের নন্দীগ্রাম শাখার ম্যানেজার হয়েছেন বলে বড়সড় অভিযোগ। শুধু তাই নয়, মহুয়াদেবীর উচ্চ মাধ্যমিকের শংসাপত্রটিও ভুয়ো; বলে অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের তরফ থেকে।

বিজেপি নেতা মেঘনাথ পালের স্ত্রী মহুয়া জানা(পাল); ব্যাঙ্কের চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন গ্রুপ-ডি কর্মী হিসেবে। ‘ভুয়ো ডিগ্রি’ দেখিয়ে; সেই গ্রুপ-ডি কর্মীই এখন ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের পদ সামলাচ্ছেন বলে অভিযোগ। কাঠগড়ায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা ও তাঁর স্ত্রী। বিষয়টি জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসেছে; তমলুক কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার অ্যাণ্ড রুরাল ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্কের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে, যাঁর বিরুদ্ধে মারাত্মক জালিয়াতির অভিযোগ; সেই ব্যাঙ্ক ম্যানেজার তথা বিজেপি নেতার স্ত্রী অবশ্য বিষয়টিতে নিজের দায় এড়িয়েছেন। মহুয়া জানা(পাল) বলেছেন; “আমাকে ব্যাঙ্কের তরফে কিছু জানায়নি; চণ্ডীপুরের একটি সংস্থা থেকে গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করি। ম্যানেজার গ্রেডের পরীক্ষার সময় সার্টিফিকেট চাওয়া হয়; আমাকে ম্যানেজার গ্রেডের পরীক্ষায় বসতে বলা হয়। যে সার্টিফিকেট আমার ছিল; তা দেখিয়েই পরীক্ষায় বসতে বলা হয়েছিল। আমি জানিয়েছিলাম, আমার সার্টিফিকেট আদৌ অনুমোদনযোগ্য কিনা; তা যাচাই করে আমায় পরীক্ষায় বসতে বলুন। আমি পরীক্ষায় বসি; আমাকে প্রোমোশনও দেওয়া হল। তারপর আমার স্বামী যখন দলবদল করলেন; তখনই বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল সমস্যা তৈরি করছে”।

বিধানসভা নির্বাচনপর্বে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে; বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মেঘনাদ পাল। তারপরেই নন্দীগ্রাম কো-অপারেটিভ মার্কেটিং সোসাইটির চেয়ারম্যান মেঘনাদ পালের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন বোর্ডের অন্যান্য সদস্যরা। এবার তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে উঠল অভিযোগ।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন