“নিজের কপ্টার খরচও কেন্দ্র থেকে চেয়েছেন, মোদীর টাকায় ফুটানি”, বিস্ফোরক দিলীপ

321
"নিজের কপ্টার খরচও কেন্দ্র থেকে চেয়েছেন, মোদীর টাকায় ফুটানি", বিস্ফোরক দিলীপ

“নিজের কপ্টার খরচও কেন্দ্র থেকে চেয়েছেন; মোদীর টাকায় ফুটানি”; ফের বিস্ফোরক বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। এবার ফের নিশানা করলেন; মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-কে। তৃণমূল-বিজেপি বা শাসক বিরোধী তরজা লেগেই রয়েছে রাজ্যে। কেন্দ্রের কাছ থেকে কয়েক হাজার কোটি বকেয়া টাকা পাওয়া বাকি রাজ্যের; সম্প্রতি নবান্নে এই তথ্য জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল নবান্নর সভাঘর থেকে ফের; ‘রাজ্যের চিঠিতে কেন্দ্রের কুলুপ’ প্রসঙ্গে মোদী সরকারকে তোপ দাগেন তিনি। এবার সেই ইস্যুতেই তৃণমূল সুপ্রিমোকে পাল্টা বিঁধলেন; বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

শুক্রবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন; “রাজ্যের বকেয়া রয়েছে নাকি? দিল্লির কাছে আমিও জানতে চাইছি; ৯৭ হাজার কোটি টাকার হিসেব এল কোথা থেকে? ৪৩ হাজার কোটি টাকা আমফান সহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য; এটা যে মমতার মনগড়া তা নয় বোঝা গেল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেলিকপ্টারে চড়ে যে খরচ করেছেন; সেই খরচও দাবি করছেন সেই হিসেবে। পার্টির লোককে সরকারি পয়সায় পুষবে; আর সেই টাকা দিল্লি দেবে? কেন? অন্য রাজ্য তো কান্নাকাটি করে না; কেন টাকা নেই টাকা নেই বলে। এসব দাবি খালি এই রাজ্যে। সবসময় মোদিজীর টাকায় ফুটানি মারবেন; আর দিল্লির প্রকল্প নিজের নামে চালাবেন। বাংলার মানুষ কি বুঝতে পারেনা এসব”।

পাশাপাশি রামপুরহাট ও হাঁসখালির ঘটনায়; পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের ‘পুলিশমন্ত্রী’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি দিলীপ ঘোষ। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির কথায়; “লজ্জা থাকা উচিত ওনার। ১১ বছর ধরে উনি পুলিশমন্ত্রী হয়ে কি করেছেন? প্রথমে বিরোধীদের ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। সফলও হয়েছেন। ওর কথা চলছে না, শুনছে না পুলিশ; তাহলে তো ওনার পদত্যাগ করা উচিত। পার্টিতেও কমিটি করেও লাভ হচ্ছে না; কথা কেউ শুনছে না ওর”।

এখানেই থেমে থাকেননি দিলীপ ঘোষ। রাজ্যের হিংসা, তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে তিনি বলেন; “বাংলা অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়; বাংলাদেশে অপরাধ করে এসে এখানে আশ্রয় নিচ্ছে। পাঞ্জাবে অপরাধ করে এসে; বাংলায় লুকোচ্ছে। এটা একটা টেরো-রিস্টদের হাব হয়ে গেছে। সমাজবিরোধী এবং গুন্ডাদের হাব বাংলা। এখানকার সরকার কতটা অকর্মণ্য; এর থেকেই প্রমাণ হচ্ছে”।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন