মানুষের সেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে উধাও; গ্রাম-পঞ্চায়েত প্রধানের খোঁজ পাওয়া গেল ইউক্রেনে! গল্প হলেও সত্যি! অনেকদিন থেকেই খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না; গ্রাম-পঞ্চায়েত প্রধানের। শেষে একটি ভাইরাল ভিডিও-তে দেখা গেল; সেই পঞ্চায়েত প্রধানকে। তাও আবার ইউক্রেনে! সাহায্য চাইছেন কেন্দ্র সরকারের।
মেয়েটির নাম বৈশালী যাদব; উত্তরপ্রদেশের হারদই জেলার বাসিন্দা। ২০২১ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে; সমাজবাদী পার্টির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এই বৈশালী। উত্তরপ্রদেশের হারদই জেলার তেরা পুরসালি গ্রাম থেকে জিতেও যান তিনি। এখানেই শেষ নয়; বাবা সমাজবাদী পার্টির বড় নেতা মেয়েকে গ্রাম-পঞ্চায়েত প্রধানও বানিয়ে দেন। তারপরেই আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না; গ্রাম-পঞ্চায়েত প্রধান বৈশালী যাদবের। কোথায় গেলেন তিনি? গ্রামের উন্নয়নের সব কাজ আটকে গেলেও; সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁর।
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হবার পরে; খোঁজ মিলল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বৈশালীর। তিনি এখন ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়ছেন। যুদ্ধ শুরু হওয়ায় তিনিও; অন্যান্য-দের সঙ্গে আটকে পরেন ইউক্রেনে। একটি ভাইরাল ভিডিও-তে দেখা যায়; তিনি সাহায্য প্রার্থনা করছেন ভারত সরকারের কাছে। ভিডিও ভাইরাল হতেই গ্রামের মানুষরা দেখতে পান; তাঁদের গ্রাম-পঞ্চায়েত প্রধানকে।
ভারত সরকারের সতর্কবার্তায় কানই দেয়নি, ইউক্রেনে পড়তে যাওয়া পড়ুয়াদের অভিভাবকরা
একজন গ্রাম-পঞ্চায়েত প্রধান কিভাবেই বা প্রশাসনকে না জানিয়ে, বিদেশে রয়েছেন; অভিযোগ তুলেই শুরু হয় তদন্ত। জানা যায়, বৈশালী যাদব গত তিনবছর ধরেই; ইউক্রেনে মেডিক্যালে পড়াশোনা করছেন। ইউরোপ থেকে ডাক্তারি পড়তেই; তাঁর ইউক্রেনে যাওয়া। মেডিক্যালের চতুর্থ বছরে, তিনি নিজের গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান পদে প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে দাঁড়ান। ভাগ্যের খেলায় প্রথমবার প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েই; পঞ্চায়েত প্রধানের পদ জিতে নেন তিনি। তারপর আবার ইউক্রেনেই চলে যান। তবে গ্রামে তার প্রধান পদে নির্বাচনের পিছনে; অন্য সমীকরণ দেখতে পান গ্রামের অনেক বাসিন্দারা। বৈশালীর বাবা পঞ্চায়েত ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি; বাবার এই পদকেই কোনওভাবে কাজে লাগিয়ে তাঁর উত্থান কি না; এই নিয়েও রয়েছে বিতর্ক।
ইউক্রেনে আটকে পড়া হারদই জেলার তেরা পুরসালি গ্রামের প্রধান বৈশালী যাদবের ভিডিও, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরেই; কীভাবে তিনি অনুমতি ছাড়াই বিদেশে গেলেন তা নিয়ে ফের তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। অন্যদিকে, তাঁকে গ্রামেই পাওয়া গেছে বলে; ফেক নিউজ ছড়িয়ে পরেছে।