কেন যুদ্ধ হচ্ছে রাশিয়া ইউক্রেনের, আমেরিকার ভূমিকা কতটা

379
Russia Ukraine Fight
কেন যুদ্ধ হচ্ছে রাশিয়া ইউক্রেনের

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সামরিক অভিযানের কথা ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই; শুরু হয়েছে দুই দেশের যুদ্ধ। ইউক্রেনের একাধিক শহরে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে রুশরা। রাজধানী কিয়েভ, খারকিভ-সহ একাধিক শহরে শোনা যাচ্ছে; একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ। রাশিয়ার যুদ্ধ-ট্যাঙ্ক ঢুকে পরেছে ইউক্রেনে। পাল্টা জবাব দিচ্ছে ইউক্রেনও। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে; রাশিয়া হঠাৎ ইউক্রেন আক্রমণ করল কেন? একনজরে দেখে নেওয়া যাক; এবারের যুদ্ধের কারণগুলি।

রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে ইউক্রেনের ঢোকার বিরোধীতা করে আসছে। ২০২১-এর জানুয়ারি মাসে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে আবেদন জানান; ইউক্রেনকে যেন NATO-তে যোগ দিতে দেওয়া হয়। এই বিষয়টিই ক্ষুব্ধ করে তোলে রাশিয়াকে। তারা গতবছরই আচমকা “প্রশিক্ষণ মহড়ার” নামে; ইউক্রেন সীমান্তের কাছে সৈন্য পাঠানো শুরু করে এবং পরবর্তী সময়ে তা আরও বাড়ানো হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার এই সৈন্য মোতায়েনের বিরোধীতা করলেও; তা কানে তোলেননি পুতিন। প্রেসিডেন্ট বাইডেন রাশিয়াকে সতর্ক করে বলেন; রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করলে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া দাবি করে; পশ্চিমের তরফে গ্যারান্টি দেওয়া হোক যে; ন্যাটো পূর্ব ইউরোপ এবং ইউক্রেনে কোনও সামরিক ক্রিয়াকলাপ করবে না। পাশাপাশি পুতিন দাবি করেন, ইউক্রেন হল পশ্চিমের ‘পুতুল’।

রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে; দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা অব্যাহত ছিল। ২০২১ সাল থেকে; পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে শুরু করে। রাশিয়া-ইউক্রেনের অস্থিরতার নিদর্শন এটাই প্রথম নয়। ২০১৪ সালেও ইউক্রেনকে আক্রমন করেছিল রাশিয়া। রাষ্ট্রপতি পুতিনের সমর্থনপুষ্ট বিদ্রোহীরা যখন পূর্ব ইউক্রেনের বিশাল অংশ দখল করেছিল; তখন থেকেই ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই শুরু হয়েছে। সেই সময় রাশিয়া; ইউক্রেনের ক্রিমিয়াকে দখল করেছিল। ইউক্রেন যে নেটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দিতে চায়; অনেকদিন ধরে সেই বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে রাশিয়া।

প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ হিসাবে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের গভীর সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে; সেখানে রুশ ভাষাও ব্যাপকভাবে বলা হয়। ইউক্রেনের দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক প্রজাতন্ত্র প্রকারান্তরে রাশিয়াই পরিচালনা করছে। এই দুইটি অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে পুতিনের স্বীকৃতির ফলে; রাশিয়া এখন সেখানে সরাসরি সৈন্য পাঠাতে পারবে; তারা সেখানে সামরিক ঘাটিও তৈরি করতে পারবে।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন