মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডাক দিয়েছিলেন জোট বাধার। বিজেপির অপ্রতিরোধ্য শক্তিকে; বাংলায় আটকাবার জন্য জোট। বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল একা কিছুই করে উঠতে পারবে না; হয়ত সেটা বুঝে গেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী; এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাই বাম ও কংগ্রেসকে নিয়ে কি; জোটের কথা তুললেন?
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর জোট বাধার ডাককে; হাওয়ায় উড়িয়ে দিল বাংলার বামপন্থীরা। বামনেতা মহম্মদ সেলিম পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন বামেদের অবস্থান। ডুবন্ত তৃণমূল দলের হাল ধরার দায় বামেরা নেবে না; সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়ে দিলেন তিনি।
বুধবার রাতে টুইট করে মহম্মদ সেলিম লেখেন; “মমতার রাজনৈতিক কেরিয়ার বাঁচাবার দায় বামেদের নেই। মমতা নিজের নৈতিকতা হারিয়ে ফেলেছেন; বলেই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ার জন্য; বামেদের সাথে জোট করার কথা ভাবছেন”।
আরও পড়ুনঃ জনতার অসন্তোষে আক্রান্ত শাহরুখকে, মমতার ক্ষতিপূরণ কি নাম ধর্ম দেখে, প্রশ্ন বিজেপির
পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে বিজেপিকে আটকানোর ক্ষমতা তৃণমূলের নেই; সেকথা একরকম স্বীকার করে বুধবার চিরবিরোধী বাম ও কংগ্রসকে; বিজেপির বিরুদ্ধে জোটবদ্ধভাবে লড়াই করার আহ্বান জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার বিধানসভায় মমতা বাম ও কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে বলেন; বিজেপিকে রুখতে সবাইকে একজোট হতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের মাঝেই কংগ্রেস ও বাম বিধায়করা; আপত্তি করে বলেন; এই প্রস্তাবে তাঁরা রাজি নন।
পরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন; তিনি রাজনৈতিক জোট করার কথা বলেননি। যে ভাবে জাতীয় স্তরে ২৩টি রাজনৈতিক দল লড়াই করছে; সেইভাবেই লড়াইটা চালিয়ে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান জানান; সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে বাম কংগ্রেস শুরুর থেকেই লড়াই করে এসেছে। বিজেপিকে বাংলায় মমতাই নিয়ে এসেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এদিন আব্দুল মান্নান বলেন; “গোধরা কাণ্ডের পরেও বিজেপির সঙ্গে ছিলেন মমতা”।
বামনেতা সুজন চক্রবর্তী এই প্রসঙ্গে বলেন; অপ্রয়োজনে কথায় কথায় ইনশাল্লাহ বলে; মোয়াজ্জেম ভাতা; ইমাম ভাতা চালু করে মুখ্যমন্ত্রীই বাংলায় বিজেপিকে জায়গা করে দিয়েছেন। ওনার সঙ্গে হাত মেলানোর কোনও প্রবৃত্তিই আমাদের নেই। তা সে যতই কম ভোট পাই না কেন।
এরপরেই রাতে মহম্মদ সেলিম টুইট করে লেখেন; “তৃণমূলের কোন ক্ষমতাই নেই বাংলায় বিজেপির পুঁজিবাদী ক্ষমতাকে আটকানোর। নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা তোলার উদ্দেশেই বাম ও কংগ্রেসকে পাশে চাইছেন মমতা”।