বেশ কয়েকদিন ধরেই অশান্ত ভাটপাড়া; এলাকা এখনও থমথমে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ভাটপাড়ায়; স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রতিনিধি দল। দলীয় কর্মীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে; শুক্রবারই বিজেপি প্রতিবাদ জানায়। ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং; এই প্রতিবাদে নেতৃত্ব দেন। যদিও ভাটপাড়া অশান্তির জন্য; এই অর্জুন সিংকেই দায়ি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
বৃহস্পতিবার থেকে; ভাটপাড়ায় দুষ্কৃতী তাণ্ডব শুরু হয়। বিজেপির দাবী; ভাটপাড়ায় দুষ্কৃতীর অপশাসন তারা রুখবেই। শনিবারই ভাটপাড়ায় যায়; বিজেপির ৩ সদস্যের সংসদীয় দল। প্রতিনিধি দলে আছেন সাংসদ এসএস আলুওয়ালিয়া; সত্যপাল সিং ও বিডি রাম। ফিরে গিয়ে অমিত শাহকে রিপোর্ট দেবেন তাঁরা।
আরও পড়ুন উষসী সেনগুপ্ত হেনস্থা মামলায় জামিনে মুক্ত রাতের দুষ্কৃতীরা
বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে; এই দুষ্কৃতী দল তৃণমূল কংগ্রেসের। বাইরে থেকে আনা হয়েছে; এই দুষ্কৃতীদের। ভাটপাড়া বিধানসভা এবং ব্যারাকপুর লোকসভা; দুই-ই বিজেপির হাতে চলে গেছে বলে; তৃণমূল কংগ্রেস এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে; এমন অভিযোগ বিজেপির।
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মদন মিত্র অভিযোগ করেছেন, “এই দুষ্কৃতী দল বিজেপির নিয়ে আসা”। মদন মিত্রের অভিযোগ, বিজেপি প্রতিনিধি দল এসে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলে; তারা বিরোধী দল হিসেবে তৃণমূলকেই দায়ী করবে; এটা জানা কথা। সুতরাং, গোটা বিষয়কেই সাজানো বলে মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন ৯ বছর বিনা কারণে জেল খেটে, মৃত্যুর ৫ বছর পর বেকসুর খালাস
এদিকে শনিবারও ভাটপাড়ায়; বিজেপির তরফ থেকে দফায় দফায় ঘেরাও করা হয় ডিসি অজয় ঠাকুরকে। এদিকে ভাটপাড়া ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বাম প্রতিনিধি দলকে। ইতিমধ্যেই সুজন চক্রবর্তী সহ বাম প্রতিনিধি দল পৌঁছে গেছেন ভাটপাড়ায়। তবে বিজেপি কর্মী সমর্থকরাই; এলাকায় তাদেরকে ঢুকতে দিতে চাইছে না বলেই অভিযোগ। শুরু হয়েছে তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ।
এদিকে এলাকায় এখনও শান্তি ফিরে আসেনি। দোকানপাট সবই বন্ধ; প্রাণরক্ষার ভয়েই দোকান খোলা হয়নি; জানিয়েছেন স্থানিয় মানুষরা। যেকোন সময়ে পরিস্থিতি আবার অশান্ত হয়ে উঠতে পারে; বলেই এলাকাবাসীর আশঙ্কা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে শুরু হয়েছে; ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের পাশাপাশি পুলিশের উচ্চ বিভাগীয় তদন্ত। ভাটপাড়া-কাঁকিনাড়া এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ। কবে এইসব এলাকায় শান্তি ফেরে; সেটাই এখন দেখার।