মাটিতে, সমুদ্রে কিংবা আকাশে মানুষের হাতে বিলুপ্তির আশঙ্কায়; রয়েছে অন্তত ১০ লাখ প্রজাতি। জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে; উঠে এসেছে এই রোমহর্ষক তথ্য। বর্তমানে অধিক হারে প্রজাতির বিলুপ্তির জন্য দায়ী জ্বালানি চাহিদা; বনাঞ্চল ধ্বংস; দ্রুত নগরায়ণ; ১ হাজার ৮০০ পৃষ্ঠার দীর্ঘ এই প্রতিবেদনে ১৫ হাজার রেফারেন্স ব্যবহৃত হয়েছে।
এটি সংকলিত করেছে ইন্টারগভর্নমেন্টাল সায়েন্স-পলিসি প্লাটফর্ম অন বায়োডাইভারসিটি অ্যান্ড ইকোসিস্টেম সার্ভিসেস (আইপিবিইএস)। এই প্রতিবেদন দাবি করে; প্রজাতির এ বিলুপ্তি থামানো সম্ভব; কিন্তু প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের আন্তঃসম্পর্কের ‘রূপান্তরমূলক পরিবর্তন’ আনা আবশ্যক।
আরও পড়ুন সুস্থ থাকতে শুধু শরীর নয়, যত্ন নিন মনেরও
প্যারিসের একটি পলিসি সামারিতে উঠে এসেছে মানুষের প্রতিক্রিয়া অন্যান্য প্রাণীদের প্রতি। প্রতিবেদনে বলা হয়; ১৯৭০-এর পর বিশ্বের জনসংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে; বিশ্বের অর্থনীতি চার গুণ বেড়েছে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বেড়েছে ১০ গুণ।
আইপিবিইএস প্রতিবেদন অনুসারে; বর্তমানে প্রায় ২৫ শতাংশ প্রাণী ও বৃক্ষ বিলুপ্তির পথে। বিশ্বে পোকামাকড় বিলুপ্তর সঠিক তথ্য নেই। আগামী কয়েক দশকে প্রায় ১০ লাখ প্রজাতি বিলুপ্তির পথে রয়েছে। যা যেকোনো সময়ের বিলুপ্তির হারের চেয়ে যা ১০ থেকে ১০০ গুণ বেশি।
আরও পড়ুন সুখী যৌন জীবনের কিছু সহজ সরল উপায় জেনে নিয়ে সুখে থাকুন
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়; ১৯৮০ সালের পর বিশ্বে প্লাস্টিক দূষণ ১০ গুণ বেড়েছে; প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে ৩০-৪০ কোটি টন ভারী ধাতব; বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থ জলে নিক্ষেপ করছি; ফলস্বরূপ গত ১৫০ বছরে বিশ্বের জীবন্ত প্রবালের অর্ধেকই ধ্বংস হয়ে গেছে।
এছাড়া প্রাণিসম্পদ বিলুপ্তির পেছনে কাজ করছে মানুষের প্রাণী শিকার, জলবায়ু পরিবর্তন, দূষণ ও আক্রমণাত্মক প্রজাতি। প্রতিবেদনে বলা হয়; অনেকগুলো কারণ একসঙ্গে মিলিত হয়ে পরিস্থিতি আরো ভয়ঙ্কর করে তুলেছে।