বিহারের বেগুসরাই লোকসভা কেন্দ্র থেকে সিপিআইয়ের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন বামপন্থী ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমার; এক সময় ‘বিহারের লেনিনগ্রাদ’ হিসেবে পরিচিত ছিল বেগুসরাই; বিজেপির গিরিরাজ সিংহের বিরুদ্ধে লড়ে ৪ লক্ষ ২০ হাজার ভোটে শোচনীয় হার মানলেন তিনি।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের কাছে পরাজিত হলেন সিপিআই প্রার্থী কানহাইয়া কুমার; চার লক্ষেরও বেশি ভোটে হেরে গেলেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাক্তন ছাত্র নেতা। ৪,২২,২১৭ ভোটে তাঁকে পরাস্ত করলেন গিরিরাজ সিংহ। নির্বাচনে ২,৬৯,৯৭৬টি ভোট পেয়েছেন কানহাইয়া। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল; শুধু মাত্র এই কেন্দ্রেই নোটাতে ভোট পড়েছে ২০ হাজারেরও বেশি।
আরও পড়ুনঃ মোদী অমিত শাহের কাছে মুখ থুবড়ে পড়ল পিসি ভাইপো
জেএনইউয়ের তরুন নেতার ওপর ভরসা করে; বিহারের বেগুসরাই লোকসভা কেন্দ্রে কানহাইয়া কুমারকে প্রার্থী করেছিল সিপিআই। তার প্রাপ্ত ভোট ২২ শতাংশ। অন্যদিকে ৫৬ শতাংশ ভোট পেয়ে এই কেন্দ্রে জয়লাভ করেছেন বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী গিরিরাজ সিং।
বেগুসরাই কেন্দ্রে সিপিআই; আরজেডি এবং বিজেপি আলাদা আলাদা প্রার্থী দেওয়ায় ত্রিমুখী লড়াই হয় এই কেন্দ্রে। প্রথমে মোদী বিরোধী জোট তৈরিতে সিপিআই আরজেডিকে আমন্ত্রণ জানালেও তেজস্বী যাদব সেই প্রস্তাবে রাজি হননি; আরজেডির তরফে তানভীর হাসানকে এই আসনে প্রার্থী করা হয়। তিনি এই আসনে লড়ে রয়েছেন তৃতীয় স্থানে।
আরও পড়ুনঃ মমতাকে নিজের ক্ষমতা ও যোগ্যতা দেখালেন অর্জুন
২০১৬ সালে দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি ভিডিওকে কেন্দ্র করে সামনে আসে কানহাইয়া কুমারের নাম। একটি ভিডিওতে দেখা যায়; কিছু ছাত্র ছাত্রী কাশ্মীরের আজাদির পক্ষে শ্লোগান দিচ্ছে। শোনা যায় ‘ভারত তেরে টুকরে হোঙ্গে; ইনশাল্লাহ ইনশাল্লাহ’ শ্লোগানও।
সেই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন কানহাইয়া কুমার; এরপরেই দেশদ্রোহীতার অভিযোগে অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার করা হয় কানহাইয়া কুমারকে। পুলিশি জেরায় যদিও তিনি জানিয়েছিলেন; কাশ্মীরের আজাদি নয়; দেশের বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা থেকে আজাদি চান তিনি। তার ওপরেই ভর করে নির্বাচনে লড়ে সিপিআই। কিন্তু তাদের মুখ রক্ষা করা সম্ভব করতে পারলেন না এই বাম ছাত্র নেতা।