অমিত শাহর পর আদিত্যনাথ যোগীর; সভায় নিষেধাজ্ঞা রাজ্যের। বারুইপুরে সোমবার বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি; অমিত শাহের সভার অনুমতি দেয়নি রাজ্য প্রশাসন। বুধবার বেহালাতে যোগী আদিত্যনাথের; সভারও অনুমতি দিল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।
বাকি মাত্র আর এক দফার নির্বাচন। এই দফায় পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিন ২৪ পরগনা ও কলকাতা জেলার; মোট ৯টি লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই শেষ দফায় বাংলা দখলে মরিয়া; গেরুয়া নেতাদের গন্তব্য দক্ষিণবঙ্গের এই ৩ জেলা। জমি খোয়াতে রাজি নয় শাসক দল তৃণমূলও।
গেরুয়া শিবিরের তৎপরতা বাড়াতেই; রাজ্যের বিরুদ্ধে প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলছে গেরুয়া শিবির। গতকাল সোমবার বিজেপি সভাপতি; অমিত শাহের সভা বাতিল হয়। এবার যোগী আদিত্যনাথের সভার ওপরেও; নিষেধাজ্ঞা জারি করলো রাজ্য। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দারস্থ হচ্ছে বঙ্গ বিজেপি।
আগামীকাল বুধবার বেহালার জেমস লং সরনীতে; দক্ষিন কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী চন্দ্র কুমার বসুর নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল। যেখানে প্রার্থীর হয়ে প্রচারে উপস্থিত থাকার কথা ছিল; উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের। কিন্তু এই জনসভার জন্য রাজ্য সরকারের অনুমতি পাওয়া যায়নি; এমনটাই শেষ পর্যন্ত খবর।
গতকাল তিনটি জনসভার প্রচারে রাজ্যে আসেন; বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। প্রথম জনসভায় ক্যানিংয়ে বক্তৃতা দেন তিনি। এরপরেই যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বারুইপুরে; নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল তার। কিন্তু যে জমিতে সভা হবার কথা ছিল, শেষ মুহূর্তে তিনি প্রচারের জন্য জমি ছাড়তে রাজি হননি।
বিজেপির অভিযোগ, ভয় দেখিয়েই জমির মালিককে সভা বন্ধ করাতে বাধ্য করেছে রাজ্য সরকার। এর আগেও বহুবার রাজ্য সরকারের তরফে; বিজেপির সভা বাতিলের অভিযোগ তুলেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেতাদের হেলিকপ্টার নামা সংক্রান্ত ব্যাপারে বেশ কয়েকবার জটিলতা তৈরি হয়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর বাঁকুড়ার জনসভার; অনুমতি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। পরে এই কারণে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বাঁকুড়ার জেলাশাসককে। নির্বাচনী প্রচারে পুরুলিয়ায় যোগী আদিত্যনাথের হেলিকপ্টার নামার ওপরেও; নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল রাজ্য। বাধ্য হয়েই ঝাড়খণ্ড থেকে সড়কপথেই সেবার পুরুলিয়া ঢোকেন যোগী আদিত্যনাথ। তবে বিজেপির সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।